আরবের তরুণ এক ব্যবসায়ী। ব্যবসা পদ্ধতির নৈপুণ্যতার কারণে বিজ্ঞ-প্রাজ্ঞ ব্যবসায়ীরাও ছিল তার থেকে পিছিয়ে। ব্যবসা কৌশল দেখে অভিভূত হত গোত্রের অন্যান্যরা। হিংসে করত তাকে। অল্প সময়ে উন্নতি করা এই তরুণের সেবারের ব্যবসায়ী সফর ছিল শামদেশে। শামের এক খ্রিষ্টান রাহিবের কাছে শোনেন মক্কায় শ্রেষ্ঠ নবির আবির্ভাবের কথা। শোনামাত্রই শাম ছেড়ে রওনা দেন মক্কাভূমিতে। জানতে চান মক্কার অস্বাভাবিক কোনো ঘটনার কথা। শোনতে পান, আবদুল্লাহর ছেলে মুহাম্মদ নিজেকে নবি দাবি করেছে এবং আবু বকর তার সত্যায়ন করেছে। ছুটে যান প্রিয় বন্ধু আবু বকরের কাছে। জানতে চান এবং জেনে নেন সবকিছু। সাথে সাথে গ্রহণ করেন ইসলামের অমীয় সুধা। নম্র-ভদ্র ব্যবসায়ী এই তরুণের ওপর নেমে আসে বিপদের ছায়া। তালহা ইবনু উবাইদিল্লাহ সয়ে যান সবকিছু। অত্যাচার-অনাচার সয়ে দিনাতিপাত করেন কোনঠাসা হয়ে। হিজরত করেন জন্মভূমি ছেড়ে মদিনার পথে। ইসলামের জন্য উজার করে দেন নিজের সবকিছু। অর্থ-সম্পদ বিলিয়ে দেন অকাতরে। উহুদের নির্মম যুদ্ধে নবিজির ঢাল হয়েছিলেন, আঘাতে আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছিল গোটা দেহ। নবিজি তাকে ঘোষণা করেছিল জীবন্ত শহিদ হিসেবে। জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছিলেন তার জীবিত অবস্থাতেই। আল্লাহর এই মহান সৈনিক জঙ্গে জামালের যুদ্ধে সাবায়ি গোত্রের দ্বন্দপ্রিয় জাহান্নামিদের হাতে শহিদ হন। রাদিয়াল্লাহু আনহু ওয়া রাদু আনহু। মিসরের প্রখ্যাত মুহাক্কিক, লেখক ও সাহিত্যিক শাইখ মুহাম্মদ আশরাফ আল-ওয়াহশ রচিত এর গ্রন্থ আমাদের এ মহান সাহাবিরই গল্প শোনাবে।