জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্তদের মাঝে অন্যতম একজন। জ্ঞান, গবেষণা, চিন্তা-ভাবনায় ছিলেন অত্যন্ত সূক্ষ্মদর্শী। আবয়ব ছিল আকর্ষণীয়। নৈতিকতা, মহত্বে ছিলেন দৃষ্টি আকর্ষক। সবমিলিয়ে তিনি ছিলেন সমাজের সকলের কাছে গ্রহণীয় ব্যক্তিত্ব। সকলের শ্রদ্ধার পাত্র। সূক্ষ্মদর্শী, নম্র-ভদ্র আবদুর রহমান ইবনু আউফ লড়াইয়ের ময়দানে কোমল থাকতেন না, হয়ে উঠতেন ময়দানের বীর। শত্রুদের সারি ভেদ করতেন, ব্যুহ ভেঙে দিতেন, ছত্রভঙ্গ করে দিতেন। হজরত উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু মৃত্যুর সময় ছয় সদস্যের একটি শুরা কমিটি গঠন করেন। তাদের থেকে একজনকে খলিফা মনোনিত করার অসিয়ত করেন। হজরত আবদুর রহমান ইবনু আউফ ছিলেন সেই কমিটির একজন। তিনি নিজের ক্ষমতার দাবি প্রত্যাহার করে উম্মতের ফায়দার লক্ষ্যে খলিফা নির্বাচনের ভার নিজ কাঁধে তুলে নেন এবং উম্মতের সম্মতিক্রমে হজরত উসমান ইবনু আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহুকে খলিফা নির্বাচিত করেন। ন্যায়-নিষ্ঠা আর নম্রতায় ভরপুর এই মহান সাহাবি ছিলেন দানবীর এবং দয়ালু। উম্মাহাতুল মুমিনিনের খাদিম। জীবনের পঁচাত্তরটি বসন্ত শেষে বত্রিশ হিজরি সনে তিনি রফিকে আলার দিকে নিজ যাত্রাপথ বেছে নেন। রাদিয়াল্লাহু আনহু ওয়া রাদু আনহু। মিসরের প্রখ্যাত মুহাক্কিক, লেখক ও সাহিত্যিক শাইখ মুহাম্মদ আশরাফ আল-ওয়াহশ রচিত এর গ্রন্থ আমাদের এ মহান সাহাবিরই গল্প শোনাবে।