একদিন তিনি ঘুমের ঘরে স্বপ্নে দেখলেন, তিনি ঘোর আঁধারে ডুবে যাচ্ছেন। যেই আঁধারে কিছুই দেখতে পাওয়া যায় না। হঠাৎই একটি তারকা চমকে উঠল। তিনি তারার সেই ক্ষীণ আলোর পিছু নিলেন। তিনি একদল মানুষ দেখলেন, যারা তাঁর পূর্বেই তারকার পিছু নিয়ে ফেলেছে। আর তারা হলেন জাইদ ইবনু হারিসা, আলি ইবনু আবি তালিব, আবু বকর সিদ্দিক রাদিয়াল্লাহু আনহুম। তখন সাদ তাদের প্রশ্ন করলেন, তোমরা এখানে কখন আসলে? তারা বললেন, এখনই। অতঃপর সকাল বেলা তিনি শুনতে পেলেন, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গোপনে গোপনে মানুষকে ইসলামের প্রতি আহবান করছেন। তখন সাদ বুঝতে পারলেন যে, আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতি কল্যাণের দৃষ্টি দিয়েছেন। তাই তাকে আঁধার থেকে আলোর দিকে নিয়ে আসতে চাচ্ছেন। সুতরাং তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট দ্রুত আসলেন এবং আজয়াদ পাহাড়ের চূড়ায় নবিজির সাথে সাক্ষাৎ করে ইসলামের আলোয় নিজেকে উদ্ভাসিত করলেন। ইসলাম গ্রহণের কারণে তিনি নানান রকম বিপদের সমুখীন হয়েছেন। তার মা তাকে ইসলাম থেকে দূরে সরানোর নানা কসরত করেছেন, কিন্তু তার ঈমানের সামনে তা বিজিত হওয়া দুষ্কর ছিল। তিনিই ইসলামের জন্য প্রথম রক্ত ঝরিয়েছিলেন এবং প্রথম কাফিরদের বিরুদ্ধে তির নিক্ষেপ করেছিলেন। রাদিয়াল্লাহু আনহু ওয়া রাদু আনহু। মিসরের প্রখ্যাত মুহাক্কিক, লেখক ও সাহিত্যিক শাইখ মুহাম্মদ আশরাফ আল-ওয়াহশ রচিত এর গ্রন্থ আমাদের এ মহান সাহাবিরই গল্প শোনাবে।