"ছোটদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)" বইয়ের ফ্ল্যাপের অংশ থেকে নেয়া: আমাদের জীবনী সিরিজের অন্যতম গ্রন্থ ও শায়খ নিজামউদ্দীন আউলিয়া জীবন ও কর্ম'ও ইতিমধ্যে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই বাংলাদেশ ভূখণ্ডে ইসলামী চিন্তাচেতনাজাত ধ্যান-ধারণা সমুন্নত রাখার জন্য ইসলামী জগতের মহাপুরুষদের জীবন চরিত অধ্যয়ন ও নিজ-নিজ জীবন ও কর্মে তার প্রতিফলন আজ বড়ই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। এছাড়া গত্যন্তর নেই, কেননা, একদিকে বিজাতীয় কু-সংস্কৃতি বা অপসংস্কৃতির ঘৃণ্য প্রভাব অন্যদিকে মুসলিম নামধারী একশ্রেণীর অকালকুষ্মাণ্ড ও কূপমণ্ডুক— যারা বিজাতীয় ভাবধারা ও ইসলাম, মুসলমান, মনুষ্যত্ব ও মানবতার ঘৃণিত শত্রুদের উচ্ছিষ্টে লালিত, তারা এ ভূখণ্ডে অনবরত ইসলাম বিরােধী ধ্যান-ধারণার প্রচার ও প্রসারে লিপ্ত— বলা যায়, তারা ইসলামী মূল্যবোেধ ধ্বংসের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সেই শত্রুদের ঘৃণ্য অপপ্রচারের প্রভাব বলয় থেকে আমাদের এদেশের বিশ্বমুহম্মদীয় পরিবারের সদস্যদের রক্ষা করতে হবে। আমাদের ক্ষুদ্র সামর্থ্য ও নিবেদিতপ্রাণ আদর্শবাদী মুসলিম কবি-সাহিত্যিক-লেখক-বুদ্ধিজীবী-চিন্তাবিদদের শ্রমসাধ্য সাধনার ফসল এ শ্রেণীর গ্রন্থগুলি আমরা জাতির খিদমতে প্রকাশ করে চলেছি। সকলের সহযােগিতা ভিন্ন এ পথ বড়ই কঠিন এবং কণ্টকাকীর্ণ; এ সকল গ্রন্থাধ্যায়নের মাধ্যমে সে পথে আমাদের চলার পথের প্রেরণা লাভ করতে হবে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের সামনে স্বচ্ছ-সুন্দর পবিত্র জীবনের দিশা দেখিয়ে দিতে হবে।
Muhammad jalal Uddin Bisshas জন্ম ১০ জানুয়ারি ১৯৫৯। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জেলা উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমা ও থানার চৈতা গ্রামে বিখ্যাত বিশ্বাস পরিবারে। পিতা মুহম্মদ তছিমুদ্দীন বিশ্বাস (১৯১৭-১৯৮০), মাতা অহিদা খাতুন (১৯২৩-২০০৮)। এগারাে ভাই-বােনের মধ্যে নবম। শিক্ষা-দীক্ষা ভারতে। ভাষা শিক্ষা ও ভাষা চর্চা আজীবনের সাধনা। সাংবাদিকতা ও গণসংযােগে ডিপ্লোমাও করেন গত শতাব্দীর আশির দশকে। বহুমুখী প্রতিভাধর কবি। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ভিড়ের মাঝে আমরা দুজন’ (১৯৮৯) কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া আছে কাব্য আমপারা' (২০০০), ঢাকা, কালিদাসের মেঘদূত' (২০০৬), ইকবালের শ্রেষ্ঠ কবিতা' (যন্ত্রস্থ), গালিবের শের (যন্ত্রস্থ)। আছে। উপন্যাস 'যমুনার ধারা বহে' (২০০৪), মােল্লা নাসিরুদ্দীন (২০০৪), অনূদিত উপন্যাস ‘রক্ত রাঙা পথ’ (২০০৫), একটি প্রেমের স্মৃতি' (২০০৮), মূল ভাষা ঠেট আউধী থেকে অনুবাদ করেন মালিক মুহম্মদ জায়সীর ‘পদমাবত' (২০০৮)। বিশ্বনবী হজরত মুহম্মদ (স.) সম্পর্কে তাঁর প্রণীত ও অনূদিত গ্রন্থ সংখ্যা বাংলা ভাষায় সম্ভবত তারই সবচেয়ে বেশি। ধর্ম-ইতিহাস-সাহিত্য-সংস্কৃতি, ভাষাতত্ত্ব, ব্যাকরণ বিষয়ক গ্রন্থাদিও প্রকাশিত হয়েছে ঢাকা এবং কলকাতা থেকে। ঐতিহ্য থেকে প্রকাশিত হয়েছে, ‘মােগল সম্রাট হুমায়ুন’ (২০০৫), মােগল শাসন ব্যবস্থা' (২০০৭), আলবিরুনির ‘ভারতত্ত্ব' (২০০৭), ‘ফিকহুস সিরাত' (২০০৮), ‘বেহেস্তি জেওর (২০০৯) প্রভৃতি গ্রন্থ। ঐতিহ্য'-র তাঁর নবতম সংযােজন ড. ভােলানাথ তেওয়ারির ‘ভাষাবিজ্ঞান ও মােগল সম্রাট বাবরের আত্মকথা 'বাবরনামা'। ইবনে বতুতার সফরনামা (২০০৪) সহ এ পর্যন্ত তার প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা ৮০-র অধিক। জেলা উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার মহান সন্তান শহীদ তিতুমীর, মাওলানা আকরম খাঁ, আল্লামা রুহুল আমীন, শেখ আবদুর রহিম, কবি শাহাদাত হােসেন, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্রমুখের সােনালি শৃঙ্খলের ধারাবাহিকতায় ইনি অন্যতম মহান সংযােজন বলে অভিহিত হন। পেশা সাহিত্য।