শাহ্জাহান কিবরিয়ার পোশাকি নাম মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া। জন্ম ২৪ জানুুয়ারি ১৯৪১। নোয়াখালী জেলার অধুনালুপ্ত শহর এবং মাইজদী কোর্ট শহরে কেটেছে তাঁর শৈশব ও কৈশোর। ১৯৫৭ সালে নোয়াখালী জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং ১৯৬০ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আই এ পাস করেন। বি এ প্রথম বর্ষ ঢাকা কলেজ ও পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ১৯৬৩ সালে বি এ (সম্মান)। ১৯৬৪ সালে বাংলায় এম এ পাস করেন। ১৯৬৩ সালে দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় সাংবাদিকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু। পরে দৈনিক পয়গাম, ফ্যাংকলীন বুক প্রোগ্রাম্স, পাকিস্তান কাউন্সিল, দৈনিক গণবাংলা, দৈনিক পূর্বদেশ, বাংলা একাডেমী এবং সবশেষে ২০০১ সাল পর্যন্ত শিশু একাডেমীতে পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন। ১৯৬২ সালে আইয়ুব খানের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে কয়েক মাস কারাবরণ। ১৯৬৪ সালে ঢাকায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ। ১৯৬১ সালে ঢাকা কলেজ বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় ছোটোগল্পে প্রথম পুরস্কার পান। শিশু সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য ২০১০ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ২০১৫ সালে শিশু একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, দুবার অগ্রণী ব্যাংক শিশু সাহিত্য পুরস্কার এবং চন্দ্রবতী একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। শাহজাহান কিবরিয়া মৃদুভাষী, সজ্জন, অন্তর্মুখী মানুষ, তবে অন্তরে তাঁর রয়েছে দৃঢ়চিত্ততা এবং এর উৎস যেমন তাঁর ব্যক্তিসত্তা, তেমনি স্বদেশাত্মার সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা। নিভৃতচারী সাধকের মানস তিনি ধারণ করেন ভেতরে, বাইরের আড়ম্বর সযত্বে পরিহার করেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বড়ো সময় ছিল তমাসচ্ছন্ন, সেই বৈরী পরিবেশেও তিনি যথাসাধ্য সচেষ্ট ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতিকে স্নাত করা, বিশেষভাবে প্রজন্মের কাছে ইতিহাসের বাণী পৌঁছে দিতে। এই কাজে তাঁর অবলম্বন হয়েছে শিশু কিশোরদের জন্য লেখালেখি এবং সৃজনশীল সাহিত্য রচনা। প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা প্রায় ৫০। সহজ সরল সাহিত্য উপদান ও শানিত নির্মাণশৈলী তাঁর রচনার প্রাণ। তিনি একদিকে নিজস্ব মৌলিক রচনার মধ্য দিয়ে পাঠক হৃদয় জয় করেছেন, অন্যদিকে বিদেশী রূপকথা ও লোককাহিনি অনুবাদ করে আমাদের শিশু সাহিত্যের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছেন। তাছাড়া মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধ গ্রন্থ রচনা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত করেছেন। তাঁর রচনায় রয়েছে আলাদা মাধুর্য ও শক্তি।
"শাহজাহান কিবরিয়ার পোশাকি নাম মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া। জন্ম ২৪ জানুয়ারি ১৯৪১। নোয়াখালী জেলার অধুনালুপ্ত শহর এবং মাইজদী কোর্ট শহরে কেটেছে তাঁর শৈশব ও কৈশোর। ১৯৫৭ সালে নোয়াখালী জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং ১৯৬০ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আই এ পাস করেন। বি এ প্রথম বর্ষ ঢাকা কলেজ ও পরে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ১৯৬৩ সালে বি এ (সম্মান)। ১৯৬৪ সালে বাংলায় এম এ পাস করেন। ১৯৬৩ সালে দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় সাংবাদিকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু। পরে দৈনিক গয়গাম, ফ্র্যাঙ্কলীন বুক প্রেত্মামস, পাকিস্তান কাউন্সিলর, দৈনিক গণবাংলা, দৈনিক পূর্বদেশ, বাংলা একাডেমি এবং সবশেষে ২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন। শাহজাহান কিবরিয়া মৃদুভাষী, সজ্জন, অন্তর্মুখী মানুষ, তবে অন্তরে তাঁর রয়েছে দৃঢ়চিত্ততা এবং এর উৎস যেমন তাঁর ব্যক্তিসত্তা, তেমনই স্বদেশাত্মার সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা। নিভৃতচারী সাধকের মানস তিনি ধারণ করেন ভেতরে, বাইরের আড়ম্বর সযত্নে পরিহার করেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর অনেকটা সময় ছিল তমসাচ্ছন্ন, সেই বৈরি পরিবেশেও তিনি যথাসাধ্য সচেষ্ট ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতিকে স্নাত করা, বিশেষভাবে নতুন প্রজন্মের কাছে ইতিহাসের বাণী পৌঁছে দিতে। এই কাজে তাঁর অবলম্বন হয়েছে শিশু- কিশোরদের জন্য লেখালিখি এবং সৃজনশীল সাহিত্য রচনা। শাহজাহান কিবরিয়া সাহিত্যে মূল্যবান অবদান রাখার জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও শিশু একাডেমি পুরস্কারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক পুরস্কার পান। প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ৫০টির অধিক। সহজ সরল সাহিত্য উপাদান ও শাণিত নির্মাণশৈলী তাঁর রচনার প্রাণ। তিনি একদিকে নিজস্ব মৌলিক রচনার মধ্য দিয়ে পাঠক হৃদয় জয় করেছেন, অন্যদিকে বিদেশি রূপকথা ও লোককাহিনি অনুবাদ করে আমাদের শিশু সাহিত্যের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছেন। তাছাড়া মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধ গ্রন্থ রচনা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত করেছেন। তাঁর রচনায় রয়েছে আলাদা মাধুর্য ও শক্তি।"