আসসালামু আলাইকুম। ছোট বেলায় আমার কবিতা ও গল্প পড়ার অভ্যাস ছিল। ক্লাসের বইয়ের পাশাপাশি গল্প ও কবিতা পড়তাম। সেখান থেকেই নিজেও লিখতে অনুপ্রেরণা পেলাম। ছোট ছোট কবিতা ও গল্প লিখতে শুরু করলাম আর আবৃত্তি করে স্কুলে পুরস্কার পেতে শুরু করলাম। বিশ বছর ধরে আমার গ্রামের সোঁদা মাটির সাথে বসবাস। এই সময়ে পাণ্ডুলিপি আকারে একটা খাতার পৃষ্ঠা পর পৃষ্ঠা ভর্তি হলো আমার লেখা দিয়ে। একদিন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আমার যাপিত জীবনে হারিয়ে যাওয়ার শুরু। সংসারনামক কঠিন জীবনে নিজের সবকিছু ছাঁইচাপা দিয়ে সংসার সামলাতে পুরোপুরি ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। লেখালেখি আড়ালে চলে গেল। ছেলেমেয়ে মানুষ হলো। স্বামী মারা গেলেন। শুরু হল আমার অখণ্ড অবসর। আমার ছোট মেয়ে জাহিনের অনুপ্রেরণায় কলম তুলে নিলাম হাতে। অসংখ্য কবিতা ও ছোটগল্প লিখতে লিখতে আটশো কবিতা লেখা হলো। মনে মনে চাইতাম, একটা কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ হোক। আমার পরিবার, বিশেষ করে আমার সন্তানেরা আমাকে উৎসাহিত করে পাশে এসে দাঁড়ালো। সবাই চাইলো আমার একটা বই প্রকাশ হোক। জীবনে বড় কিছু পাওয়ার ইচ্ছা ছিল না। আল্লাহর অশেষ রহমত যে তিনি এই বই প্রকাশ করার তৌফিক দান করেছেন। এটাই আমার অনেক বড় পাওয়া। এটাই আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ। ‘গোধূলির আলো’- আমার জীবনবোধের অনন্য কিছু কবিতা। জীবনের শেষ বিকেলের আলো ছায়ায় মিলেমিশে আছে এই কবিতাগুলি। আমার বিশ্বাস, পাঠক সেই জীবনবোধ উপলব্ধি করতে পারবেন। স্নেহের ছোট ভাই, কবি ও লেখক মিনহাজ সাদ্দামের সাথে প্রথম যোগাযোগ করি বইটি প্রকাশ করার ব্যাপারে। উনিই আমাকে প্রকাশক, কবি, শিল্পী ও গীতিকার আবুল হাশেম ভাইয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। এ.এইচ প্রকাশনী থেকে আমার ছোট মেয়ের প্রচ্ছদে এই কাব্যগ্রন্থটি হতে পারে আপনার প্রিয়জনকে দেওয়া একটি চমৎকার উপহার। মহান আল্লাহর দরবারে হাজারও শুকরিয়া এই বইয়ের জন্য। প্রিয় পাঠক-পাঠিকার কাছে বইটির সাফল্যের জন্য দোয়া কামনা করছি। বই হোক মানুষের জীবনে প্রিয় সঙ্গী।