কাহিনি সংক্ষেপ: মিত্তির বাড়ির কর্তা অমরনাথ মিত্র বাড়ির প্রবীণতম সদস্য। স্ত্রী, তিন ছেলে-মেয়ে, নাতী-নাতনী নিয়ে ভরাট সংসার তাঁর। সংসারের দায়ভার থেকে মুক্তি পেতে যথাসময়ে সন্তানের হাতে তুলে দেন বাড়ির দায়িত্ব। দুই ছেলের বউ বিভাবতী এবং কল্যাণী চেষ্টা করেন সকল বিপদে আপদে পরিবারের ঢাল হয়ে উঠতে। বাড়ির কনিষ্ঠ সদস্য তপু, নুপুর, ঝুমুর। এরাই মূলত বাড়ির প্রাণ।
একখানা আধাপাকা ঘর তোলাকে কেন্দ্র করে মূলত কাহিনী আবর্তিত হতে থাকে। মোটামুটি স্বচ্ছলতা থাকলেও নানাভাবে নানা জায়গা থেকে অভাব এসে কড়া নাড়াতে ঘর তুলতে কেবলই বিলম্ব হতে থাকে। ছোট্ট তপুর খুব শখ তাদের একটা দোতলা দালান বাড়ি হবে। বাড়ির ছাদে ওদের তিনভাই বোনের খেলার নতুন আস্তানা হবে, ছোট্ট নুপুর-ঝুমুর বাগানের পাশের বড় গাছটায় পাতা দোলনায় দোল খাবে।
মিত্তিরবাড়ির ছোট ছেলে সুজয় শেষ পর্যন্ত নতুন ঘরখানা তুলতে পারে কিন্তু সেই ঘরে আনন্দ করার জন্য তপুরা তখন আর গ্রামে থাকে না। সাংসারিক নানা টানাপোড়নের মাঝেও মায়ার বাঁধনে বাঁধা পড়া দুই জা বিভাবতী আর কল্যাণীও আলাদা হয়ে যায় একসময়। হরিহর আত্মা ঝুমুরকে ছেড়ে থাকতে কষ্টে প্রাণ কাঁদে নুপুরের। পুজোর ছুটিতে বাড়ি যাবে তাই বোনের জন্য চকলেট চিপস নিজে না খেয়ে জমিয়ে রাখে বোনের সাথে খাবে বলে।
সেবারে পুজোর ছুটিতে বাড়ি এসে খুব আনন্দ হয় তপুদের। কিন্তু ছুটি শেষ হওয়ার আগেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। ছোট্ট তপু কি এমন দোতলা বাড়ির স্বপ্ন দেখেছিল?