রাবণ ফিরে এসেছে নতুন রূপে, নতুন শক্তি নিয়ে। রঘুবীর কী পারবে সময় মতো নিজেদের শক্তি জড়ো করতে এবং শত্রুকে পরাজিত করতে? বলিউড অভিনেত্রী, সুনিতা অশোকের স্বয়ম্বরের জন্য আয়োজিত রিয়ালিটি শো, স্বয়ম্বর লাইভ-এর সমাপ্তি ঘটেছে রক্তপাত দিয়ে। এদিকে খুনের দায়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে বিক্রমকে, সাথে পালিয়ে বেড়াচ্ছে আমানজীত আর রাসীতাও; ঠিক যেন রামায়ণের বনবাস পর্ব চলছে। তবে কী মহাকাব্য ঠিক ঠিক আপন মোড়কে তাদের বাস্তব জগতকে গ্রাস করে নিতে শুরু করে দিয়েছে? কেননা সেই প্রাচীন কাব্যের সূত্র ধরেই ঘটে চলেছে একের পর এক ঘটনা। অপরদিকে বিক্রমের অজ্ঞাতবাসে গায়ে পড়ে সঙ্গী হয় এক রমণী; কে এই রমণী, যাকে কি না বিক্রম চাইলেও চোখের আড়াল করতে পারে না। যাকে নিয়ে রাসীতা আর দীপিকার ভয়ের শেষ নেই। আমানজীতের আমূল পরিবর্তন ঘটেছে; নিজের যোদ্ধা প্রবৃত্তির স্বাদ সে ফিরে পেয়েছে। অপরদিকে রাসীতাও এখন নিজের অতীত জীবনের স্মৃতি স্মরণ করতে পারছে। দীপিকাও নিজের ভেতরের সুপ্ত আত্মশক্তির আভাস পেয়েছে; অপার সেই শক্তি, যা কি না শুরু থেকেই তার ছিল। তবে এই সবকিছুকে ছাড়িয়ে একজনের শক্তি ক্রমাগত বেড়েই চলেছে—রবীন্দ্র; যার সাথে আবার যোগ দিয়েছে ভয়াল অপশক্তির দল—অসুর জাতি। কাতারে কাতারে দৈত্য, দানব আর রাক্ষস সৈন্যরা এসে যোগ দিচ্ছে লঙ্কাপতির সাথে। ভারতবর্ষের প্রাচীন রূপকথা আর কিংবদন্তিরা যেন পলকের মাঝেই জীবন্ত হয়ে উঠেছে; উলালের রক্তক্ষয়ী উপত্যকা থেকে শুরু করে ঝাঁসির গোলাবারুদের ধোঁয়ায় ধোঁয়াটে রাজমহল, এমনকি বর্তমান মুম্বাই, বানারস আর পবিত্র স্থান—পুষ্করেও যাদের অবাধ আনাগোনা চলছে আজো। শুরু হয়ে গেছে অন্তিম লড়াইয়ের প্রস্তুতি। পাঠককেও স্বাগতম সেই লড়াইয়ের সাক্ষী হতে, আরো একবার।