‘শয়তানের একটি বড় যন্ত্রণা হলো, কুরআন নিয়ে মানুষের তাদাব্বুর-চিন্তা ফিকির করা। কারণ, শয়তান জানে কুরআন নিয়ে চিন্তা-ফিকির করলেই হেদায়াত লাভ হয়।’ ইবনু হুবায়রা রহ. এর এই কথাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, কুরআনই তো সর্বোত্তম নাসীহাহর গ্রন্থ। মানুষ যদি কুরআন নিয়ে ভাবে, উপদেশ গ্রহণের নিয়তে চিন্তা করে, তা তাকে আল্লাহর দিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। এটা তো শয়তানের জন্য যন্ত্রণাকরই হওয়ার কথা। মুফতী মুহাম্মাদ শফী রহ. বলেন, ‘প্রতিটি মানুষ কুরআনের অর্থ ও মর্ম সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করুক এটিই কুরআনের দাবি। সুতরাং এ কথা মনে করা ঠিক নয় যে, কুরআন মাজীদের আয়াতসমূহে চিন্তা-ভাবনা করা শুধু ইমাম ও মুজতাহিদ (বা বড় বড় আলিমের) কাজ। অবশ্য জ্ঞান ও প্রজ্ঞার পর্যায়ের মতোই চিন্তা-ভাবনারও বিভিন্ন পর্যায় রয়েছে। ’মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল মালেক হাফি. বলেন, ‘নামাযের রুহ যেমন খুশু-খুযু, তিলাওয়াতের রুহ হলো তাদাব্বুর ও তাযাক্কুর তথা চিন্তা-ভাবনা ও উপদেশ গ্রহণ। কালামে পাকের তিলাওয়াতে আবার সেই প্রাণ ফিরে আসুক! এটা এখন বড়ই প্রয়োজন।’ তবে কুরআন অনুধাবনেরও পদ্ধতি আছে। যে কেউ যেকোনোভাবে কুরআন নিয়ে তাদাব্বুর করলে তা উপকারী নাও হতে পারে। উপদেশ গ্রহণের নিয়তে চিন্তা-ভাবনা করা আর কুরআনের অর্থ বোঝার গৌরব অর্জনের প্রচেষ্টা কখনো এক নয়। কেমন হবে আমাদের কুরআনের তাদাব্বুর, আর তা করতে গিয়ে কোন কোন বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে তা নিয়েই এই বই—কুরআন অনুধাবন।