‘দুনিয়াসক্তি’ রোগের একমাত্র ওষুধ হলো, যুহদ। এর সরল অর্থ হলো, দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি, দুনিয়াবিমুখতা। যুহদ হলো ইসলামি জীবনদর্শন। একজন মুসলিম যেভাবে দুনিয়া থেকে গা বাঁচিয়ে চলে, সেটাকেই যুহদ বলে। যেভাবে জীবনধারণ করেছিলেন প্রাণের নবি , তাঁর সাহাবি ও উম্মাতের শ্রেষ্ঠ প্রজন্মের মানুষেরা। যেভাবে জীবন পরিচালনা করে মুসলিম জাতি অর্ধ পৃথিবীর কর্তা হয়েছিল সেই জীবনপদ্ধতিই হলো, যুহদ। আজকের ভোগবাদী ও বস্তুবাদী জীবনব্যবস্থায় যুহদ হলো পরিত্যক্ত। স্রোতের সঙ্গে গা ভাসিয়ে মুসলিমরাও আজ নির্যাতিত, নিষ্পেষিত ও অচ্ছুতজাতি। এ জাতি যতদিন না তাদের নেককার পূর্বসূরি তথা সালাফে-সালিহিনের জীবনপদ্ধতিকে পুনরায় আপন করে না নিবে, ততক্ষণ পর্যন্ত মুক্তি নেই। সেই মুক্তির পথের একটি ক্ষুদ্র নকশা এই বইটি।
‘যুহদ’ বিষয়ক বেশ কিছু কিতাবাদি প্রকাশিত হয়েছে। বইগুলোর বেশির ভাগই তাহকীককৃত নয়। রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর নামে মুনকার, জাল হাদীসও উল্লেখ আছে কিছু কিছু বইতে, অথচ সেগুলো চিহ্নিত করে দেওয়া হয়নি। এমতাবস্থায় আমরা ‘যুহদ’ ও ‘রিকাক’ বিষয়ক বিশুদ্ধ বর্ণনাসমূহ প্রয়োজনীয় সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাসহ সংকলন করার ইচ্ছা করি। যা মৌলিক ও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন গ্রন্থ হবে।