আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁর অশেষ দয়ায় 1440 হিজরি মোতাবেক 2019 সালের বাইতুল্লাহর মুসাফিরদের কাফেলায় আমাকেও শামিল করেন। বাইতুল্লাহর জিয়ারত আর রওজায়ে আতহারে সালাম পেশ করতে পারা অনেক বড় খোশকিসমত। আলহামদুলিল্লাহ। প্রেমময় ইবাদত হজ যেমনি আশিকে ইলাহি ও আশিকে রাসুলদের ইশকের তৃষ্ণা নিবারণের পাথেয় জোগায়, তেমনি আহলে ইলমদের জন্য জোগায় ইলম ও ফিকিরের খোরাক। মুবারক এই সফরে মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববির সমৃদ্ধ লাইব্রেরিতে হাজিরি দেওয়ারও সুযোগ হয়েছিল। ব্যক্তিগত আগ্রহের কারণে উভয় লাইব্রেরির সীরাত সেকশনেই বিচরণ ছিল বেশি। মসজিদে নববির লাইব্রেরিতে সীরাতের জন্য স্বতন্ত্র ও পরিপাটি একটি রুম নির্ধারিত আছে—যাতে রয়েছে সীরাতের প্রাচীন ও আধুনিক কিতাবাদির সমৃদ্ধ সংগ্রহ। মসজিদে হারামের লাইব্রেরির সীরাত সেকশনে প্রাপ্ত পয়ামে সীরাত ও হাকিকতে ইশক গ্রন্থদুটোর নির্বাচিত অংশ নিয়ে পুস্তিকাটি সাজানো হয়েছে। এই পুস্তিকার শেষ অংশটি প্রথমে অনুবাদ করা হয়েছে, যেখানে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ ও মুসলিম উম্মাহর বর্তমান অবস্থা নিয়ে হৃদয়গ্রাহী কথামালা ও করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রবিউল আউয়ালকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রুসম-রেওয়াজ সম্পর্কেও দরদি সতর্কবার্তা উচ্চারিত হয়েছে। আশা করা যায়, পুস্তিকাটি আকারে ছোট হলেও আমল ও ফিকিরের ক্ষেত্রে সঠিক কর্মপন্থা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। (অনুবাদক)
জন্ম ১৯৭০ সালের ১৬ জুলাই। ইসলামের বিখ্যাত সেনাপতি খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রা) এর বংশধর তিনি। মাত্র ৫০ বছর বয়সেই হয়ে উঠেছেন আরব জাহানের বিশিষ্ট বক্তা এবং লেখক। তিনি তার বক্তৃতা এবং লেখনীর মাধ্যমে আরবসহ পশ্চিমা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। হ্যাঁ! আমরা আর কারো কথা বলছি না, বলছি ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফীর কথা। দাম্মামে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করার পর সৌদি আরবের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করেন তিনি এবং রিয়াদের বাদশাহ সৌদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন করেছেন পিএইচডি ডিগ্রি। বিখ্যাত হাদীস বিশারদ শায়খ মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল, শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনে কুউদ, শায়খ আব্দুর রহমান ইবনে নাসের আল-বাররাক প্রমুখ ব্যক্তিবর্গকে শিক্ষক হিসেবে পেয়েছেন মুহাম্মদ আরিফী। প্রায় পনেরো-ষোলো বছর ইবনে বায রহ. এর সাথে থাকার সৌভাগ্য হয় তার। তার জীবনের মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর দাওয়াত দেওয়া। তাকে অনেক সময় ""দাওয়াত ইল্লাল্লাহ"" বলেও সম্বোধন করা হয়। তার বিভিন্ন স্থানে বক্তৃতা করার মূল কারণও এটি। বাজারে তার বক্তৃতায় অডিও-ভিডিও ক্যাসেট পাওয়া যায় যার দ্বারা উপকৃত হচ্ছে পুরো মুসলিম বিশ্ব। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী বই রচনা করে চলেছেন মানবজাতির কল্যাণার্থে। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী এর বই সমূহ প্রত্যেকটি বিক্রির সময় একটি আরেকটিকে ছাড়িয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী এর বই সমগ্র হলো ভার্সিটির ক্যান্টিনে, সুখময় জীবন উপভোগ করুন, তুমি সেই নারী, নবী-চরিত্রের আলোকে: জীবন উপভোগ করুন, রাগ করবেন না: হাত বাড়ালেই জান্নাত, কিতাবুল ফিতান, রোজা ও হজ্জের পয়গাম, নারী যখন রানী, তোমাকে বলছি হে বোন, আপনার যা জানতে হবে, রামাদান আল্লাহ’র সাথে সম্পর্ক করুন, যেভাবে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকবেন ইত্যাদি।