বই সম্পর্কে “রবের সাথে পরিচয়” বইটিতে রয়েছে এমন মূল্যবান সব উপাত্ত ও বর্ণনা, যা পাঠককে আল্লাহর সাথে একান্তে পরিচয় করিয়ে দেবে, ইনশাআল্লাহ; যাতে বিশ্বাসী হৃদয় আল্লাহকে আরও ভালোভাবে চিনতে জানতে এবং বুঝতে পারে। এছাড়াও বইতে উল্লেখিত আছে কীভাবে আল্লাহর দয়া এবং অনুগ্রহ আমাদের সর্বদা ঘিরে রাখে, দেখানো হয়েছে, কীভাবে তাঁর অনুগ্রহ ছাড়া আমাদের জীবনের একটি সেকেন্ডও কল্পনা করা যায় না। আল্লাহ আমাদের সৃষ্টিকর্তা। তাঁর অনেকগুলো গুণবাচক নাম রয়েছে। এ নামগুলোকে বলা হয় “আসমাউল হুসনা” তথা সুন্দরতম নামসমুহ। এ নামগুলোর প্রত্যেকটি তাঁর গুণকে শামিল করে থাকে। যখন মোমিন বান্দার অন্তরে এ নামগুলোর আলোকচ্ছটা পড়বে তখন অন্য সব আলোর বিচ্ছুরণ সামান্যই মনে হবে। বইটি আপনাকে আল্লাহর গুণবাচক সুন্দরতম ৯৯টি নামের সাথে পরিচিত করবে। নামগুলোর সাথে আমাদের পাত্যহিক জীবনের গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলবে। বস্তুত ‘রবের সাথে পরিচয়’ বইটি আল্লাহর ৯৯টি গুণবাচক নাম সম্পর্কে রচিত অতিক্ষুদ্র একটি প্রয়াস মাত্র। এ বইটিতে আল্লাহর ৯৯টি গুণবাচক নাম অবলম্বন করে তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে চেয়েছি। দীনি সকল পাঠকদেরকে জানাতে চেয়েছি যে, আল্লাহ সর্বশক্তিমান। তাঁর দয়া অফুরান তিনি সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন। এ বইটিতে যদি ভালো কিছু থাকে, তবে আল্লাহ যেন পাঠককুলকে সেই ভালো কিছুর সুফল দান করেন। তাছাড়া তিনি যেমন জানেন, আমি ভুল করতে পারি, তেমনি আমিও জানি যে, তিনি ক্ষমা করার অধিকার রাখেন। ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। সুতরাং, তিনি অবশ্যই ক্ষমা করবেন। মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে ক্ষমা ও আশ্রয় প্রার্থনা করছি। স্রষ্ঠার গুণাবলি আমাদের অস্তিত্বের সবকিছু বুকে ধারণ করে মানবতাকে ওপরে তোলে। আল্লাহর যেকোনো নামে প্রবেশ করি না কেন, সেখানে আমি প্রথমে কোরআনের আয়াতটুকু, যেখানে সেই নামটি বর্ণিত, তা বর্ণনা করার চেষ্টা করেছি। এরপর তার অনুবাদ। প্রার্থনাতে বা প্রার্থনায়, হৃদয় নিংড়ানো বাক্যগুলো ব্যবহারের চেষ্টা করেছি। আল্লাহ পাঠককুলকে তোমার নামের স্বাদ দিয়ে পরিপূর্ণ করে দিয়ো, তারা যেন সেই স্বাদ থেকে বঞ্চিত না হয়। আমাদের আদর্শ মুহাম্মদ (স.) এর ওপর মহান আল্লাহর দয়া ও করুণা বর্ষিত হোক। সকল প্রশংসা সৃষ্টিকুলের রব, মহান আল্লাহর জন্য।