আমরা অতীতকে যেখানে ফেলে এসেছি বলে ভাবি, অতীত সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে না। বালিগঞ্জের ভলগা আর বো ব্যারাকের ফেলিক্স অতীত নামের বেড়ালটাকে ঝোলায় পুরে ফেলে এসেছিল দূরে। ভেবেছিল আপদ গেল। ভুল ভেবেছিল। বেড়াল পথ চিনে ফিরে এল। প্রবাসী ভল্গার দুঃস্বপ্ন ছিল মেয়েবেলার কলকাতায় একদিন তাকে হোটেলে অতিথি হয়ে উঠতে হবে। পনেরো বছর পর হঠাৎ দুঃস্বপ্নগুলো সত্যি হতে থাকল এক এক করে। বো ব্যারাকের ফেলিক্সকে ছেলেবেলায় কেউ ক্রিসমাসের রাতে নাচতে ডাকত না। মারা যাওয়ার রাতে বাবা তাকে একটা কথাও বলে গেল না। ছোট্ট ফেলিক্সের মনটাও সেদিন মরে গেল। কমল মাইতির একটা চিঠি সব তালগোল পাকিয়ে দিল। প্রান্তিক মানুষরাও যে মানুষ সেটা বোঝানোর কাজে মেতে ছিলেন সবুজ-প্রেমী নিখিলেশ। আশা ছিল খবরের কাগজে প্রচারের মাধ্যমে আসবে ফান্ডিং। তবু হঠাৎ কেন সমস্ত প্রচার থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিলেন? ধর্ম আগে না উপাসনা আগে? এ আবার কী অবান্তর প্রশ্ন! গীতা-বাইবেল- কোরান ছাড়া ঈশ্বর-সাধনা? আপাতত আবিষ্কৃত মানুষের প্রথম উপাসনালয় কি অন্য কিছু বলতে চাইছে আমাদের। যুগে যুগে দেশে দেশে চলে আসছে দ্বন্দ্ব – ভারতে যারা আদি বাসিন্দা ছিল ছবি আঁকত, শিকার ধরে খেত দেশের আদি বাসিন্দা কারা? পাথর ভেঙে সাধনী গড়ত, গুহার গায়ে তাদের কী ধর্ম ছিল? তারা হিন্দু? তারা মুসলমান? ফিনিক্স পাখির মতো ছাই ভেঙে উঠে দাঁড়ানো ইতিহাস যখন নিখিলেশ, ভলগা আর ফেলিক্সকে ভোপালের পথে এনে ফেলল, কী হল?