কিছুদিন পর মধু গেল আমাদের বাড়ি। আমি ক্লাসে কিছুটা আড়ষ্ট হয়ে থাকতাম। মধু বলল, ভূদেব তুমি ওরকম আড়ষ্ট হয়ে থাকো কেন ? আমি আরও জড়োসড়ো হয়ে গিয়ে বললাম, কই? না তো? যত আড়ষ্ট হবে, ততই অন্যেরা তোমার ওপর খবরদারি করবে। নিজেকে কখনও গরিব ভাববে না! গরিব কাকে বলে? তোমাদের টাকাপয়সা কম থাকতে পারে, কিন্তু মেধায় তুমি কারও থেকে কম নও! মধুর কথা আমার মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দিয়েছিল। আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছিলাম, আমার ভেতর থেকে সব জড়তা, শিথিলতা, হীনম্মন্যতা, দুর্বলতা মুহূর্তের মধ্যে কোথায় যেন চলে গেছে! মধুর মতো ছেলে এই কথা বলছে ! মধু আমার দিকে তার সর্বগ্রাসী চোখ মেলে তাকিয়ে বলেছিল, তুমি আমার বন্ধু। আমি যার-তার সঙ্গে বন্ধুত্ব করি না। চলো, আজ আমি তোমার বাড়ি যাব ! মধু আমার মতামত নিল না। মতামত নেওয়ার প্রয়োজনীয়তাও বোধ করল না। ওর পালকির মধ্যে আমাকে টেনে নিয়ে বলল, তুমি বেহারাদের বলে দাও কোথায় যেতে হবে! আমি আরও আড়ষ্ট হয়ে পড়তে থাকি। বলি, আমার বাড়ি যেতে চাও চলো, কিন্তু এরকম পালকিতে আমি কখনও চড়িনি। চুঁচড়ো থেকে কলকাতা এসেছি পড়াশুনো করতে।
প্রকৃতির মায়াজালে, সবুজের সমারোহে যার বসবাস, কবিতাকে ভালোবেসেই যার লেখালেখি, সেই সমীরণ দাশ। তার কবিতায় মৃত্তিকার গন্ধ পাই,হৃদয়ের ঘ্রাণ। প্রেম,ভালোবাসা, আর সমসাময়িক বিষয় -আসয় নিয়েই তার কবিতা'র বই "অনুরাগের ছোঁয়া " কবি বলতে চায় আসলে কবিতা'র মধ্য দিয়ে বলার শেষ নেই, বলতে গেলে অনেক কথাই থেকে যায়।আর সেই বলা না বলার মধ্যে কবিতারা হাতরে বেড়ায়, কবি সমীরণ দাশের হাত ধরে। কবিতায় খুঁজে চলে শান্তি, প্রেম ভালোবাসা আর সময়ের সাথে চলা এই তরুণ সব সময় কবিতা সাথেই থাকতে চায়। আমরা আশা করতেই পারি। একদিন সেই না বলা কথাগুলোও তার হাত দিয়েই ওঠে আসবে কবিতার মত করে। এ পর্যন্ত তিনি 'নারায়ণগঞ্জ আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন ২০১৮ ;শ্রীমঙ্গল অমর একুশে বই মেলা সম্মাননা -২০১৯ ; মৌচাক সাহিত্য পরিষদ আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন সম্মাননা -২০২০ ;স্বপ্ন সাহিত্য চর্চা আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন সম্মাননা ২০২১-২০২২ সহ বেশকিছু সম্মাননা পেয়েছেন।