৩২২ খ্রিস্টপূর্বের ভারতবর্ষ। নন্দ সাম্রাজ্যের পতন হয় এবং স্থাপিত হয় মৌর্য সাম্রাজ্য। সিংহাসনে আসীন হলেন সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য। এই মহাযজ্ঞের মূল কাণ্ডারি ছিলেন এক ব্রাহ্মণ। আচার্য বিষ্ণুগুপ্ত চাণক্য। সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের প্রধানমন্ত্রী পদে কয়েক বছর দায়িত্ব পালনের পর আচার্য চাণক্য অবসর গ্রহণ করেন। নিভৃতে বসবাস শুরু করেন এবং মনোনিবেশ করেন তার অমর সৃষ্টি ‘অর্থশাস্ত্র’ লেখায়। কিন্তু কী হবে যদি রাজমহলের অন্দরেই ঘটে যায় হত্যাকাণ্ড? অথবা মগধের বুকেই শুরু হয় একের-পর-এক হত্যা? যখন রহস্য হয় গভীর এবং সমাধান অসম্ভব মনে হতে শুরু করে, তখন আবারও ডাক পড়ে সেই ব্রাহ্মণের। কারণ রহস্য যতই জটিল হোক, অপরাধী যতই ধূর্ত হোক, এবার সকল রহস্যের সমাধান করবেন তিনি— আচার্য চাণক্য। শলাক-শাস্ত্র: রাজমহলের অন্দরে হত্যা করা হয়েছে গান্ধারের রাজদূতকে। কিন্তু কড়া সুরক্ষা ব্যবস্থার মাঝেও কোন কৌশলে তা সম্ভব হল? শুধুই হত্যা, নাকি এর পেছনে রয়েছে কোনো ঘৃণ্য রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র? শীল-শাস্ত্র: মগধের প্রতিনিধি হিসাবে তোসালির দুর্গে অতিথি হয়েছেন চাণক্য। কিন্তু সেখানে গিয়ে তিনি সম্মুখীন হলেন এক গভীর রহস্যের। রাজার মৃত্যু কি স্বাভাবিক নাকি হত্যা? হত্যা-শাস্ত্র: রাজধানী পাটলিপুত্রর পথে, গভীর রাত্রে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হচ্ছে একের-পর-এক গণিকাকে। হত্যাকারী কি উন্মাদ, নাকি তার কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য আছে? চাণক্য কি পারবেন এই অপরাধীর মনস্তত্ত্বের গভীরে প্রবেশ করে সমাধান সূত্র খুঁজে আনতে? কনক-শাস্ত্র: পৃথিবীর প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়, তক্ষশিলায় ঘটছে কিছু ব্যাখ্যাতীত ঘটনা। অন্ধকারের আনাচেকানাচে দেখা দেয় প্রেতমূর্তি, রহস্যময় ভাবে নিখোঁজ হয়েছেন এক শিক্ষক এবং ঘটেছে অপমৃত্যু! প্রধানাচার্যের অনুরোধে বিশ্ববিদ্যালয়ে এলেন আচার্য চাণক্য। কোন গূঢ় রহস্য অপেক্ষা করে আছে সেখানে তার জন্য? আসছেন স্বয়ং আচার্য চাণক্য, সঙ্গে নিয়ে চারটি জটিল হত্যা-রহস্য। আর আপনি? যদি বলি প্রতিটি রহস্যের সমাধান সূত্র থাকবে আপনারই চোখের সামনে? পারবেন আপনি স্বয়ং মহামতি চাণক্যের আগেই হত্যাকারীকে চিহ্নিত করতে?