কিছু কথা লিখে রাখতে হয়। ইতিহাসের কথা বলছি। সময় যদি হয় অনেক দূরের, স্মৃতির, সবটুকু হয়তো পাওয়া যায় না। তাই সময়ে সময়ে লিপিবদ্ধ হওয়া জরুরি। এই জনপদের পারিবারিক ইতিহাস ও পরিচয় যদি লিখে রাখা যায়, তাহলে মানুষের সামাজিক ইতিহাস সমৃদ্ধ হবে। গবেষকদের জন্য ধারণা মিলবে। অবারিত হবে নতুন ইতিহাস লেখায়। দীর্ঘ প্রায় পাঁচ দশক ধরে আইনের কঠিন জটিল ব্যাখ্যায় নিজেকে তিনি ব্যাপৃত রেখেছেন। পিছনে শৈশব-কৈশোরের ফেলে আসা গ্রাম কালীপুর/ইজ্জতনগরের সোঁদা গন্ধ তাকে অবচেতনে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। মায়াবী জনপদ কালীপুর/ইজ্জতনগরের ভোরের প্রভা, স্নিগ্ধ দুপুর মোহন সন্ধ্যার ছবি তার মনের ফ্ল্যাশব্যাকে ভেসেছে। কালীপুর/ইজ্জতনগরের অপ্রকাশিত ইতিহাস প্রকাশের অনাদি অপেক্ষা লেখকের কলমের খোঁচায় উদ্ভাসিত হয়েছে পাঠকের সামনে, লেখক আইনের মানুষ হয়েও এ বইয়ের পাতায় পাতায় ইতিহাসের এক মননশীল পথিক। তিনি আগামী প্রজন্মের কাছে একটি পথরেখা সৃষ্টির প্রয়াস পেয়েছেন। লেখকের মতো পথরেখা সৃষ্টিতে আমাদের গ্রাম বাংলার যতবেশি মননশীল মানুষ ব্রতী হবেন আমাদের আগামী প্রজন্ম ততবেশি ইতিহাস সমৃদ্ধ এক ঐতিহ্যবাহী জাতিসত্তার গর্বিত অংশীদার হবেন। এই বই নিবিষ্ট পাঠকদের গ্রাম-বাংলার এক মোহন সুরে আবেশিত করে রাখবে তা নিশ্চিত। মেজর (অব.) মুহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম কথাসাহিত্যিক