আজ শ্রাবণের আমন্ত্রণে: রূপম অনেক দিন পর সস্ত্রীক গুরগাও থেকে তার বাড়ি ফিরেছে। আর এমন সময়েই তাদের মফস্বলে এক মানসিক বিকারগ্রস্থ সিরিয়াল কিলার পর পর খুন করে চলেছে কিছু দিন অন্তর। স্থানীয় পুলিশ রূপমকেই সন্দেহ করতে শুরু করে। ক'দিনের জন্য বেড়াতে এসে রূপম জড়িয়ে পড়ে এক অদ্ভুত টানাপোড়েনে। আর এর মধ্যেই খুন হয় রূপমের প্রথম প্রেম মোম। রূপম দিশেহারা হয়ে পড়ে। রূপমের স্ত্রী এই সময়েই জানতে পারে রূপমের প্রথম প্রেমের কথা। তাদের সম্পর্ক খাদের কিনারে এসে দাঁড়ায়। খুনগুলো কিন্তু অনেক কথা বলে যায়। মফস্বলে কে এই কাজ করে যাচ্ছে? তার পরবর্তী লক্ষ্যই বা কে? গা শিউরে ওঠার মত এক সাইকো থ্রিলার "আজ শ্রাবণের আমন্ত্রণে"। বিজন ঘরে: দীপ খুব বাজে ধরণের রোম্যান্টিক এক ছেলে। সে যে আসলে কাকে ভালোবাসে, সেটাই বুঝে উঠতে পারে না। যে ছেলে ঠিক করেছিল কোন দিন কোন সম্পর্কে যাবে না, সে ছেলেই একই সঙ্গে একই সময়ে দু দুটো মেয়ের প্রেমে পড়ল। অন্যদিকে মানালি সাংবাদিক। ফিল্ম ডিরেক্টর ধ্রুব বাগচীর জীবনের গল্প করতে গিয়ে তার জীবন নরক হয়ে উঠল। ধ্রুব বাগচী অত্যন্ত দুর্বিনীত এবং ঠোঁট কাটা একজন পুরুষ যার আচরণে বিরক্ত হয়ে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছে। দীপ, মানালি, ধ্রুব বাগচীদের তিনটি সমান্তরাল রেখা কোনদিন কি এক হতে পারবে? এই প্রজন্ম ঠিক করে ভালবেসে ফেলার আগেই কি সহজলভ্য হোটেল ঘরে চলে যেতে চায়? বিজন ঘরেই কি তারা ঠিক করে নিতে পারে তারা আসলে কি করতে চায়? সব কিছু নিয়ে এই প্রজন্মের এক অতি সরল, অথচ এক অতি জটিল আখ্যান। রাস্তা পার হবে সাবধানে: সে মানুষটার খেয়াল রাখা। সারাক্ষণ তার কথাই ভেবে চলা। আত্রেয়ী অমৃত যেন একে অপরকে চোখে হারায়। অন্যদিকে জীমূতবাহন বিয়ে করা সুখী নয়। তার স্ত্রী তাকে জানায় সে এক বিবাহিত পুরুষকে ভালবাসে। জীমূতবাহনকে স্টেপনি হিসেবেই জীবন কাটাতে হবে। জীমূত কেন মেনে নেবে? অনিরুদ্ধ এক অদ্ভুত মানুষ। সে যেন রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় তার প্রেমিকা, জীমূতবাহনের স্ত্রীকে৷ এদিকে অনিরুদ্ধর স্ত্রী অনিন্দিতা সন্তানসম্ভবা। অনিন্দিতা আত্রেয়ীর স্কুলের শিক্ষিকা। সে যখন হঠাৎ করে জানতে পারে তার স্বামী আদতে তাকে ঠকিয়ে যায় প্রতিনিয়ত, সে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যেতে চায়। রাস্তা পার হবে সাবধানে প্রবলভাবে ভালবাসায় ফেরার আখ্যান।
জন্ম ১০ই অক্টোবর ১৯৮৫। মফস্বল শহর অশোকনগরে বেড়ে ওঠা। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন হেরিটেজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে । ছোটবেলা থেকেই পড়ার বইয়ের পাশাপাশি গল্পের বইয়ের নেশা ছিল। লেখার নেশা জাঁকিয়ে বসে কলেজে পড়াকালীন। কলেজে পড়াকালীন ‘আদরের নৌকা' লিটল ম্যাগ প্রকাশের মাধ্যমে সাহিত্য জগতে প্রবেশ। প্রথম বই ২০০৮ সালের বইমেলাতে প্রকাশিত হয়, ‘এক কুড়ি গল্প'। পরবর্তী কালে অফিস থেকে ফিরে ফেসবুকে লিখতে বসা এবং ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা পাওয়া। ফেসবুকে অভীক একটি পেইড গ্রুপে সারাবছর ধরে লেখেন, যেখানে পাঠকেরা বছরে একটি নির্দিষ্ট সাবস্ক্রিপশন ফি দিয়ে লেখকের লেখা পড়েন। তার লক্ষ্য, বাংলাভাষায় লিখে একটি ‘সেকেন্ড ইনিংস হোম' এবং পথশিশুদের জন্য বিদ্যালয় গড়া গান গাইবার পাশাপাশি ঘুরতে, ফটোগ্রাফি করতে ভালবাসেন লেখক।