গল্প বলার ধরন আছে। গল্প লেখকগণ কথা বলার ভঙ্গিতেও গল্প লেখেন। কেউ কেউ কাহিনিনির্ভর, বর্ণনাধর্মি কিংবা সংলাপ সাজিয়ে গল্প বলেন। রথীন্দ্র প্রসাদ দত্ত বহুদিন ধরে গল্প লিখছেন। কাহিনিনির্ভর গল্প। সরস গল্প। তার গল্পের বাক্যভঙ্গি সরল ও সাদাসিধে। তবে কথন প্রক্রিয়া-আলাদা করবার চেষ্টা করেছেন প্রতিটি গল্পে। তিনি প্রকৃত পাঠ অনুধাবন করেন বলেই সমাজ ও মানুষের ভাবনাকে প্রতিক্রিয়ায় ব্যক্ত করেছেন। এটাই বিশেষত্ব। এইভাবে গল্প বলিয়েদের মধ্যে তার ধ্যান ব্যতিক্রম বলে মনে করি। এই প্রচার সর্বস্ব যুগে তিনি চুপিসারে এখনও লিখে যাচ্ছেন। আত্মপীড়নের মধ্যে যে যাত্রা তিনি শুরু করেছেন। তার মধ্যে প্রকাশ-প্রবাহ নিয়ে বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই । তারপরও আত্মপীড়নের অন্তরালে বইটি তার জীবনের সফল চিহ্ন। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে লেখা গল্পগুলোকে একত্রিত করে এই সংকলন। এটিই তার সমগ্রের কাছাকাছি বলে বলা যায় তিনি গল্পে মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি, মানুষের ভঙ্গি, সমাজের চরিত্রগুলোকে তুলে এনেছেন। এইতো গল্প, এইতো আড্ডা প্রিয় রথীন্দ্র প্রসাদ দত্ত সমকালীন গল্প ভাষার মগ্ন সৈনিক। তার গল্প অনায়াসে যে কেউ পাঠ করতে পারেন। এতে একটা দীর্ঘ সময়ের অভিজ্ঞান পাওয়া যাবে।