অনেক এবড়ো খেবড়ো পাথর বিছানো পথ দিয়ে কবি আয়শা বা অন্তত সাহস করেছেন এই দূরহ পথের একাকী পথিক হয়ে পায়ে রক্ত ঝরাতে তিনি কবিদের মতো একা, নিঃসঙ্গ। হাড় কাঁপানো নিঃসঙ্গতা কবির নিত্যদিনের একমাত্র সখা। কবি বাৰ্নাকে তাই নীলকণ্ঠ কবি বলতে ইচ্ছে হয়। তার হৃদয়ে বুর্জোয়া লুণ্ঠন, যুদ্ধ ও ধর্ষণ বাঁচিয়ে কিছু অমৃত বাঁচিয়ে রাখেন। সন্তর্পণ লুকিয়ে অন্তর্গত রক্তে। জীবপালিনী প্রকৃতি মাতা। তাই তিনি মনে হয়, নারীবাদী না হয়েও প্রাকৃত নারীমাতা। কখনো কড়াল মুণ্ডমালিনী ধ্বংসে মহাকালী আবার কখনো রূপে ঝাঁপি নিয়ে লক্ষ্যে, আনন্দের রস নিয়ে স্বরস্বতী, সৌন্দর্য্যের হননকারী অসুর-কে তিনি দশ বাহু দিয়ে বধ করতে করতে এগিয়ে যান, জীবনের পথে, কবিতার পথে, আনন্দের পথে। সত্তর পরবর্তী কবিতা আমাদের অনেককেই বিভ্রান্ত করে। কবিতার ছন্দ প্রকৌশল নিয়ে অনেক যুক্তিতর্ক করা যায়। তিরিশের ধারাবাহিকতা ষাট সত্তর পর্যন্ত ব্যবহৃত হতে হতে আমাদের প্রায় কবিতা কলে পড়া ইঁদুরের অবস্থাপ্রাপ্ত বলে মনে হয় । ছন্দ ভাঙার কথা অনেকে বলেন তবে শর্ত জুড়ে দেন তা হতে হবে ছন্দ জেনেই । ছন্দজ্ঞান কি তা আমার বোধের বাইরে। সোজাসাপ্টা কথা হলো প্রথম ভাষা তৈরী হয় তারপর তার নিয়ম তৈরী হয় বা আবিষ্কৃত হয়, লিখিত চল শুরু হয়, মুদ্রণযুগে মুদ্রিত হয়। যারা বেহিসেবী ভাঙ্গার কালাপাহাড়ী, তাদের সাহস ও আবেগকে আমি শ্রদ্ধা জানাই । প্রতিষ্ঠানবিরোধী বিদ্রোহীরাই ভাষা তৈরী করেন । তারাই প্রকৃত ভাষা প্রকৌশলী। আমাদের আলোচ্য কবি সমকালীন এই দুঃসময়ে প্রতিষ্ঠানবিরোধী একজন বিদ্রোহী কবি। এই জন্যই তার দিকে আমার অন্তরের সায়টা অধিক . মুস্তফা আনোয়ার কবি