কিছুক্ষণ... আমাদের অনেকের জীবনের দৈনন্দিন আমলের অন্যতম একটি আমল হচ্ছে মনযিল পড়া। এর উপকারিতা আমরা দেখে আসছি, পেয়ে আসছি। বর্তমানে বাজারে দু'মলাটের যে মনযিলগুলো রয়েছে সেগুলোর কোনটা অসম্পূর্ণ কোনটা ফজিলতশূন্য। সেগুলোর তুলনায় বক্ষমান মনযিলটি অর্থ ফজিলত ও কিছু ঘটনাসহ তুলে ধরা হয়েছে। ও ফজিলতসহ সম্পূর্ণভাবে লেখার চেষ্টা করা হয়েছে। সঙ্গে চল্লিশটি দুরূদ পবিত্র কোরআনের ১৮টি স্থান থেকে নির্বাচিত ৭৯টি আয়াতের সমন্বিত রূপ হলো মনযিল । = স্থান ও আয়াতগুলো যথাক্রমে এই, এক. সূরা ফাতিহা ৭ আয়াত - দুই. সূরা বাকারার প্রথম পাঁচ আয়াত তিন. সূরা বাকারার ১৬৩ নং আয়াত চার. সূরা বাকারার ২৫৫ ২৫৬, ২৫৭ নং আয়াত অর্থাৎ আয়াতুল কুরসি। ও এ পরবর্তী ২ আয়াত পাঁচ. সূরা বাকারার ২৮৪, ২৮৫ ও ২৮৬ নং আয়াত অর্থাৎ শেষ আয়াত ছয়. সূরা আলে ইমরানের ১৮ ও ২৬ ২৭ নং আয়াত সাত সূরা আরাফের ৫৪ ৫৫ ও ৫৬নং আয়াত আট. সূরা বনী ইসরাইলের ১১০ ও ১১১নং আয়াত অর্থাৎ শেষ ২ আয়াত নয়. সূরা মুমিনূন এর ১১৫-১১৮নং আয়াত অর্থাৎ শেষ ৪ আয়াত দশ. সূরা সফ্ফাতের প্রথম ১১ আয়াত এগার. সূরা রাহমানের ৩৩-৪০নং আয়াত, মোট ৮ আয়াত বার সূরা হাশরের ২১-২৪ নং আয়াত অর্থাৎ শেষ ৪ আয়াত তের. সূরা জিনের প্রথম চার আয়াত চৌদ্দ. সূরা কাফিরূনের ৬ আয়াত পনের. সূরা ইখলাসের ৪ আয়াত ষোল. সূরা ফালাকের ৫ আয়াত সতের. সূরা নাসের ৬ আয়াত দিয়েছেন ধন্যবাদ ফুলদানী প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী মোঃ আকবর ভাইকে, তিনি বরকতময় মনযিল লেখার জন্য আমাকে বার বার তাগাদা অনেক ধৈর্য ধরেছেন। সবিশেষ শুকরিয়া জানাই মুফতি নূরে আলম সিদ্দিতি সাহেব ও হাফেজ মাওলানা মুফতি মোঃ সায়েমকে, তাঁরা দু'জন এ গ্রন্থনার জন্য কষ্ট করেছেন। এবং আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর অশেষ তাওফিকে মনযিল ও দুরূদের লেখা তৈরির কাজ শেষ হলো। দ্বীনের কোন কাজ দয়াময়ের বিশেষ করুনা ছাড়া কিছুতেই সম্ভব হয় না। অগণিত শুকরিয়া জ্ঞাপন করি মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে, তিনি আমাকে এ বরকতময় লেখা তৈরি করার কাজে। কবুল করেছেন। তিনি নিজ রহমতের শামিয়ানায় আমাকে সব সময় ছায়া দিয়ে রাখবেন, এ দোয়াই করি। এ পুস্তিকাকে তিনি আমার মরহুমা মায়ের নাজাত ও জান্নাতে উঁচু মর্যাদা লাভের ওসিলা হিসেবে কবুল করুন! আমিন! প্রিয় পাঠক! এবারের মত বিদায় নিচ্ছি। ওয়াসালাম। বিনয়াবনত শাহ আহমাদ সাঈদ
(২ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৮ – ২৪ মে ১৯৮২) তিনি ছিলেন দেওবন্দি ধারার একজন হানাফি পণ্ডিত। তিনি হাদিসের বিশেষজ্ঞ ছিলেন। তার চাচা মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস কান্ধলভি ছিলেন সংস্কারমূলক আন্দোলন তাবলিগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ফাজায়েলে আমল নামক গ্রন্থের লেখক। এটি উর্দুতে লিখিত হলেও অন্যান্য ভাষায় অনূদিত হয়েছে।[১][২][৩] তার জীবনীগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে হায়াতে শায়খুল হাদিস ও আপবীতি। মুহাম্মদ জাকারিয়া ১৮৯৮ সালে কান্ধলা নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহিয়া। গাঙ্গোহ নামক স্থানে তিনি তার পিতার মাদ্রাসায় দশ বছর পাঠগ্রহণ করেন। ১৯১০ সালে তিনি মাজাহির উলুম শাহারানপুর মাদ্রাসায় শিক্ষালাভের জন্য আসেন। এই মাদ্রাসা দারুল উলুম দেওবন্দের সাথে সম্পর্কিত ছিল। তিনি তার পিতা ও মাওলানা খলিল আহমেদ শাহারানপুরির কাছ থেকে হাদিস শিক্ষালাভ করেন। ১৯১৫ সালে উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি এখানে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় দেওবন্দ আন্দোলনের প্রসারে তার ভূমিকা রয়েছে।