بسم الله الرحمن الرحيم প্রশ্নোত্তর পর্ব ১. কুরআন কি শুধুমাত্র মুত্তাকিদের জন্য পথপ্রদর্শক? الم . ذلك الكتب لا ريب فيه. هدى للمتقين " অর্থ: আলিফ-লাম-মিম। এই সেই গ্রন্থ, যাতে কোনো সন্দেহ নেই। এটি আল্লাহভীরুদের জন্য পথপ্রদর্শক। (সূরা বাকারা: ১-২) يأيها الناس قد جاءتكم موعظة من ربكم وشفاء لما في الصدور وهدى و رحمة للمؤمنين অর্থ: হে মানবকুল, তোমাদের কাছে উপদেশবাণী এসেছে তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে এবং অন্তরের রোগের নিরামক, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য। (সূরা ইফনুস: ৫৭) شهر رمضان الذي أنزل فيه القران هدى للناس অর্থ: রমযান হলো সেই মাস, যে মাসে কুরআন অবতীর্ণ করা হলো, যা সকল মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক। (সূরা বাকারা: ১৮৫) প্রশ্ন: প্রথম আয়াত দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, কুরআন শুধুমাত্র মুত্তাকিদের জন্য পথপ্রদর্শক । আবার দ্বিতীয় আয়াত দ্বারা প্রতীয়মান হয়, কুরআন সকল ঈমানদারদের জন্য পথপ্রদর্শক; সে মুত্তাকি হোক বা না হোক। এদিকে তৃতীয় আয়াত দ্বারা প্রতীয়মান হয়, কুরআন সকল মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক; সে ঈমানদার হোক বা না হোক। এর সমাধান কী? উত্তর: ক. প্রকৃতপক্ষে কুরআন সকল মানুষের জন্যই পথপ্রদর্শক; যা তৃতীয় আয়াতে বলা হয়েছে। তবে পূর্ণ হেদায়াত গ্রহণ করবে শুধু মাত্র মুত্তাকিগণ, যেমনটি প্রথম আয়াতে বলা হয়েছে। আর দ্বিতীয় আয়াতে ঈমানদার দ্বারা মুত্তাকিই উদ্দেশ্য । বা সকল ঈমানদার আংশিক হেদায়াত গ্রহণ করবে । (তাফসীরে কাবির, খাযায়েন)