ভিন্ন কেউ by নুসরাত জাহান প্রচ্ছদ: আশিকুর রহমান প্রকাশনায়: স্বরবর্ণ প্রকাশনী ফ্ল্যাপ থেকে: সে রাতে মিতু বেরিয়ে এলো সাব্বিরের সাথে দেখা করতে। বাহিরে গেইটের এক কোণে বসে আছে সে। নিথর, নিষ্প্রাণ এক রাত। ভয়ে হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে আসছে, এক হাতের উপর আরেক হাত রেখে শক্ত করে চেপে বসে আছে সে। ভয়ে চোখের সামনে, মনের ভিতর কতো কি ঘুরছে। নির্জন রাতে এভাবে বাহিরে এসে বসে আছে এটা ভেবে তার ভিতরটা ভীত হয়ে আসছে। আচমকা যদি ভয়ংকর কিছু সামনে এসে দাঁড়ায় তখন আমি কি করবো, আমার চিৎকার শোনে বাবা জেগে যাবে না তো! ভয়ে পেয়েও সে ভয় পাচ্ছে না। মনটা শক্ত করে বুকে অসীম সাহস নিয়ে অপেক্ষা করছে কখন সাব্বির আসবে। হঠাৎ করে মিতুর মনে হলো ঐপাশে কেউ একজন দাঁড়িয়ে আছে। তার মুখে তপ্ত আগুন। তারপর আস্তে আস্তে সিগারেটের গন্ধ ভেসে আসছে। এখন মিতুর ভিতরটাতে ভয় গ্রাস করছে। ঐপাশে তাকাতে গিয়েও সে তাকাল না। এখন হাসান সাহেব হাত থেকে সিগারেটটা পায়ের নিচে ফেলে পিষে রাগান্বিত হয়ে সপাটে গালে একটা চড় বসিয়ে জিজ্ঞেস করবেন, এতো রাতে বাহিরে কেন বের হয়ে এলে? এটা মিতু জানে। কিন্তু পাশের লোকটা তা করলো না, সিগারেটটা ফেলে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এবার মিতু নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে এখানে তার বাবা আসেননি। তবে কে এখানে? রাতের আঁধারে বুঝা যাচ্ছে না কে এখানে দাঁড়িয়ে আছে। এটা তো সাব্বির হওয়ার কথা না কারণ আমি আজ পর্যন্ত কখনো সাব্বিরকে সিগারেট হাতে নিতে দেখিনি। মিতু ওড়না দিয়ে টেনেটুনে নিজের শরীরটা ঢেকে নিয়ে নিশ্চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এতক্ষণ সময় হয়ে গেল, সাব্বির এখনও কেন আসছে না? ও কি আসবে না? রাস্তায় কি কোনো বিপদ হয়েছে? পিছনের দেয়ালের সাথে মিশে একদম স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে মিতু, অন্ধকারে যেন তাকে না দেখা যায়। এভাবে চেপে দাঁড়িয়ে থাকলে কেউ বুঝতে পারবে না। আচমকা একটা টর্চ লাইটের আলো এসে পড়ল মিতুর চোখেমুখে। এবার চোখ মেলে তাকিয়ে চোখের সামনে দু’টো মানুষ দেখতে পেল সে। দু'জনের মুখ কাপড় দিয়ে আবৃত্ত শুধু চোখগুলো দেখা যাচ্ছে। এই রাতের আঁধারে চোখ দেখে মানুষ চিনতে পারা খুব কঠিন। মানুষগুলো কে তা দেখার আগেই এক ঝটকা টানে মিতুর শরীরের ওড়নাটা.....
জন্ম ২০০২ সালের ৭ই এপ্রিল , ময়মনসিংহ জেলায় । পিতার নাম ফজলুর রহমান এবং মাতার নাম রওশন আরা । বর্তমানে ময়মনসিংহের মুমিনুন্নিসা কলেজে ইংরেজি বিভাগে অধ্যয়নরত । বুকের ভিতর অফুরন্ত সাহিত্যের কথারা আজ বাসা বেঁধে আছে।বাসা বেঁধে আছে আজ অসংখ্য গল্প আর কবিতা। সেইগুলো বলে যেতে চাই বইয়ের পাতায়। আর সাহিত্যকে হৃদয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে চলতে চাই জীবনের শেষ সীমানা পর্যন্ত। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতাম কবি নজরুলের মতো লেখালেখি করবো, সারাদিন এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াবো আর কবিতা লিখবো। প্রায় সময় এটা ঐটা লিখতাম ডায়েরীর পাতায়, আর সেগুলো ছিঁড়ে লুকিয়ে রাখতাম বইয়ের পাতার মাঝে। চেষ্টা করি সাহিত্যের রঙের নিজেকে রাঙাতে। বইয়ের কথা বলতে,বইয়ের কথা পৃথিবীর প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে দিতে। জানি না পারবো কি না তবুও স্বপ্ন দেখে যাই। আমার প্রথম বই, প্রথম অনুভূতি "অনুভূতির দেয়াল" দিয়ে শুরু হয় আমার এই নতুন জীবন। সকলের ভালোবাসা ফেলে একের পর এক অনুভূতি কথা বলে যেতে চাই আমি সকলের তরে। প্রকাশিত বই : অনুভূতির দেয়াল (কাব্যগ্রন্থ), প্রেমের ত্রিকোণমিতি (উপন্যাস), ভিতরে ভিন্ন কেউ(উপন্যাস) ।