এক দেশে এক রাজা ছিল। রাজা বিয়ে থা করেনি, একাই থাকে। তার কাছে এক তীরন্দাজ কাজ করত। তার নাম আন্দ্রেই। একদিন আন্দ্রেই শিকার করতে গেছে। সারাদিন বনে ঘুরে ঘুরেও তার কপাল খুলল না, শিকার মিলল না। এদিকে সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে, আন্দ্রেই বাড়ি ফিরে চলল। হঠাৎ দেখে, গাছের মাথায় একটা ঘুঘু বসে। আন্দ্রেই ভাবল, "ওটাকেই মারা যাক।” আন্দ্রেই তীর মারল পাখির ডানায়। গাছের উপর থেকে সোঁদা মাটির উপর পড়ে গেল পাখিটা। আন্দ্রেই তুলে নিয়ে গলা মুচড়ে থলিতে পুরতে যাবে, হঠাৎ পাখিটা মানুষের গলায় কথা বলে উঠল। 'মেরো না, তীরন্দাজ আন্দ্রেই, গলা আমার কেটে ফেলো না। জীবন্ত বাড়ি নিয়ে গিয়ে জানলায় রেখে দিও। যেই ঝিমতে শুরু করব, অমনি তোমার ডান হাত দিয়ে চড় মেরো আমায়। দেখবে তোমার ভাগ্য কেমন খুলে যায়।' নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছিল না আন্দ্রেই এ কী? দেখতে ঠিক পাখির মতো, আবার মানুষের মতো কথা বলে! আন্দ্রেই পাখিটা বাড়ি নিয়ে গিয়ে জানলার উপর রেখে দেখতে লাগল কী হয়। কিছুক্ষণ পরে ঘুঘুটা ডানার তলায় মাথা গুঁজে ঘুমিয়ে পড়ল। ঘুঘুটা কী বলেছিল মনে পড়ল আন্দ্রেই- এর। ডান হাত দিয়ে ঘুঘুটাকে সে চড় মারল। ঘুঘুটা মাটিতে পড়ে গেল এক কন্যে, রাজকুমারী মারিয়া। কী তার রূপ সে রূপ বলার নয়, কওয়ার নয় রূপকথাতেই পরিচয়।