গল্প নিয়ে বারবারা কিংসলভারের একটা স্টেটমেন্ট আমার বেশ পছন্দ- 'Close the door. Write with no one looking over your shoulder. Don’t try to figure out what other people want to hear from you; Figure out what you want to say.' ঠিক এই ভাবনাটা আমাকেও শক্তি দেয়। আমার কাছে কে, কী শুনতে বা জানতে চাচ্ছে সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হল আমি কী বলতে চাই সেটি অনুধাবন করা। এর সাথে শুধু এটুকুই যোগ করা যেতে পারে যে আমার বলা কথাগুলোর সাথে পাঠক কতটা রিলেট করতে পারছে। কথাসাহিত্যিক দিলারা মেসবাহর ‘চামেলি ভিলার পরম্পরা’ পড়ে আমার ঠিক এই কথাগুলোই মনে হয়েছে। গল্প- লেখার বিষয় যতটা তারচেয়ে বলার বিষয় বোধকরি অনেকটা। অন্তত আমি তাই বিশ্বাস করি। সুসাহিত্যিক দিলারা মেসবাহ গল্প বলতে চেয়েছেন। আর এটাই তার মুন্সিয়ানা। এগারোটি গল্প এগারোটি মসলার ফ্লেভার দেবে পাঠককে যেখান থেকে প্রতিটি মসলা আলাদা করে চিনতে পারবেন পাঠক। নামগল্পটির অসাধারণ সব সাবটাইটেল পাঠককে দীর্ঘ গল্পের ক্লান্তি কাটিয়ে দেবে। এ ছাড়া বাদবাকি গল্পের প্লট, চরিত্রের চিত্রন, আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার গল্পকে পাঠকের নিজস্ব করে তুলবে এ কথা নিশ্চিত করে বলা যায়। দিলারা মেসবাহর গদ্যের হাত সালঙ্কার। ঝরঝরে কিন্তু মজবুত গাঁথুনি। ‘চামেলি ভিলার পরম্পরা’ গল্পগ্রন্থটি তারই আরেকটি উৎকৃষ্ট উদহারন হয়ে রইবে। - নাহিদা আশরাফী