আমি বাঙালি। বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন মহান মুক্তিযুদ্ধ। শৈশব পেরিয়ে কৈশোরে পদার্পণ করতেই হাটে, মাঠে, ঘাটে সর্বত্রই শুনেছি মুক্তিযুদ্ধের বীরগাঁথা, হাজারো উপাখ্যান। সে-ই সাথে শুনেছি, ভাষায় প্রকাশের অযোগ্য পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংস বর্বরতার নিষ্ঠুর কাহিনি। মানুষ নামের পশুদের তাণ্ডবের কথা শুনে আমার মন ও মগজ বিষিয়ে উঠেছে। ভেবেছি মানুষ এত নির্মম হয় কি করে!! তারপর বিবেক যখন ভালো-মন্দ বিচারে প্রতিনিয়ত শাসন করতে শুরু করল তখন আমি স্বাধীন দেশের নাগরিক। আমার পরিপার্শ্ব জুড়ে প্রত্যক্ষ করি অন্যায় অবিচার, কত শত অনিয়ম নিষ্ঠুরতা। ধনী-গরিব পার্থক্য, দুর্বলের প্রতি সবলের অত্যাচার। নীতি নৈতিকতা যেন নিরুদ্দিষ্ট হয়ে যাচ্ছে দিনে দিনে। তেমনি এক অমানবিক নিষ্ঠুর কাহিনি নিয়ে আমার লেখার প্রয়াস। লেখালেখির ব্যাপারে আমাকে সবসময়ই উৎসাহ যুগিয়েছেন শ্রদ্ধেয় প্রিয় শিক্ষক সরকারি বিμমপুর কে.বি. কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খ.ম.আ. রব স্যার। এই বই প্রকাশ করার ক্ষেত্রে স্যারকে বিরক্ত করেছি প্রতিনিয়ত। স্যার সবসময়ই সদা হাস্যোজ্জ্বল আন্তরিক সচেষ্ট থেকে আমাকে সহযোগিতা করেছেন সেড়বহ ভালোবাসায়। প্রকাশক যাযাবর মিন্টু, আমার দেখা অনন্য আন্তরিক, দায়িত্বশীল, অনুপ্রাণিত হওয়ার মতো একজন স্মরণীয় মানুষ। আমি আনত। কৃতজ্ঞ। বইটি ১৯৯৮ সালে একুশে বইমেলায় শাহিন আজাদ নামে প্রকাশিত হয়েছিল।