নশ্বর জগতের খণ্ডকালীন দেহের গাত্রে স্থাপিত চর্মচক্ষু দিয়ে অবিনশ্বর জগতের মহান রবকে দেখা একেবারেই অসম্ভব। আড়ালে থাকলেও তিনি আছেন আমাদের সাথে। সার্বক্ষণিক পাশে থেকে তিনি আমাদের ঢেকে রেখেছেন অফুরন্ত নিয়ামতে।। তাঁর দেওয়া এসব নিয়ামত তাঁর অস্তিত্বের বার্তা দেয় আমাদেরকে। তুমি কাউকে দেখছো না তোমার সামনে; কিন্তু তোমার যে কোনো প্রয়োজনে তাঁকেই পাচ্ছো প্রতি মুহূর্তে।। না দেখে তাঁর অস্তিত্বের বার্তা যখন তোমার মস্তিষ্কে পৌঁছে যাচ্ছে, তখনি তোমার ভেতর যে প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, সেটাই অনুভব।। অনুভবের ফলে আমরা আমাদের রবকে চিনতে পারি। তাঁকে জানতে পারি।। আমার প্রতিটা জায়গায় তিনি আছেন বলেই আমরা তাঁকে বিশ্বাস করি।। আমাদের প্রত্যেকের মানসিকতার বিশাল জগতগুলো একেকটা অনুভবের আধার। এই অনুভবকে কাজে লাগিয়ে আমরা চলে যেতে পারি আমাদের কাঙ্খিত গন্তব্যে। রবের প্রতি ঈমান আনার পর ঈমানের সৌন্দর্য ও নববি শিক্ষায় নিজেকে সাজিয়ে নেওয়া যায় কীভাবে, এ বইটি আপনাকে সেটাই ভাবতে শেখাবে।। লেখক আহবান করেছেন সেই অনুভবের দিকে।। চলুন! কিছুক্ষণের জন্য হারিয়ে যাই অনুভবের অন্তহীন জগতে... চলুন! কিছুক্ষণের জন্য হারিয়ে যাই অনুভবের অন্তহীন জগতে...
গবেষণা ও লেখালেখির জগতে ব্যতিক্রমী ও প্রত্যয়দীপ্ত তরুণ। জন্ম নিজ জেলা গাইবান্ধায়। শিক্ষাজীবন শুরু নিজ পিতার কাছেই । গ্রামের এক হাফিজিয়া মাদরাসায় প্রাথমিক শিক্ষার সূচনা ঘটে। মাত্র ৯ বছর বয়সে পূর্ণাঙ্গ হিফজ সমাপ্ত করেন। হিফজ শেষে বগুড়া জেলার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি বিদ্যাপীঠ 'মাদরাসাতুল উলুমিশ শারইয়্যাহ' থেকে প্রাথমিক আরবি ও মাধ্যমিক স্তর পেরিয়ে রাজধানী ঢাকার মারকাজু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামীতে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ভর্তি হন। এরপর ‘দারুল উলুম দেওবন্দ' ভারত থেকে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) এবং ‘আত-তাখাসসুস ফি উলুমিল হাদিস' পড়েছেন। এছাড়াও তিনি পারুল ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিপ্লোমা শেষ করেছেন। বর্তমানে দ্বীনের দাওয়াত ও গবেষণা-লেখালেখি কাজে সক্রিয় রয়েছেন। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কোনো বিষয়কে লেখনীর আবহে গুছিয়ে উপস্থাপন করার অদম্য বাসনা তাঁর লেখায় ফুটে উঠে। বায়তুল মুকাররমে ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের বই বিক্রয় কেন্দ্র থেকে নতুন বই কিনে আনার নিয়মিত অভ্যাস হয়েছিল বাল্যকাল থেকেই। পরবর্তীতে উচ্চতর হাদিস বিভাগে অধ্যয়নের সময় একটি ওয়েব-সাইটে নিয়মিত প্রশ্নোত্তর লিখিতভাবে প্রকাশ করার ধারাবাহিকতায় একাধিক বিষয়ে বই লেখায় জড়িয়ে পড়েন। জুবায়ের ইবনে সাঈদের রচিত ও অনূদিত কয়েকটি বই ইতোমধ্যে প্রকাশ হয়েছে। এসবের মধ্যে 'নবীজির ১০০ মুজিজা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ছোটদের প্রিয় নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ফিলিংস, হিসনুল মুসলিম এবং আল আযকার' উল্লেখযোগ্য। প্রচলিত ও গতানুগতিক ধারা সন্তর্পণে এড়িয়ে চলে প্রতিষ্ঠা করেছেন নিজের পরিচয়।।