গত মাসের এক সোমবার তারাপীঠে গিয়েছি, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ সরাইঘাট এক্সপ্রেসে হাওড়া থেকে রামপুরহাট স্টেশনে পৌঁছে প্রথমেই এক কাপ চা খেয়ে নিলাম। এবার হাওড়া থেকে শুভাশিস চ্যাটার্জি আমার সঙ্গী ছিলেন। উনি একজন সরকারি ঠিকাদার। খুবই মজাদার মানুষ। অনেকবার চা খান। বাহান্ন-তিপান্ন বছর বয়স হলে কী হবে, মনটা ছয় ফুট লম্বা আর এত বয়স হলে কী হবে, মনটা তার একদম শিশুসুলভ। এত কথা বলেন যে আপনার সময় কীভাবে যে কেটে যাবে তা বুঝতেই পারবেন না। সে যাই হোক, আমরা দুজন আমার নতুন ঘরের জন্য একটা মশারি ও বিছানার চাদর কিনে রওনা দিলাম। একটা অটো নিয়ে রওনা দিলাম তারাপীঠের উদ্দেশে। মাঝপথ থেকে এক সাধুবাবা উঠলেন গাড়িতে। কী শান্ত মানুষ ! গলায় যেমন মধুর স্বর, দেখতেও তেমন সৌম্য। গায়ের রং শ্যামলা হলেও চোখ দুটো বেশ আকর্ষণীয়। তবে বয়স আন্দাজ করা মুশকিল, তবুও ৭০/৭৫ তো হবেই। আমাদের দেখে বেশ আনন্দই পেলেন মনে হল। ওঁর মতো আমারও চুল-দাড়ি আছে বলেই আমাকে ওঁর মতো সাধু ভেবে নিজেই যেচে আলাপ করলেন বাবারা, কোথা থেকে আসা হচ্ছে? উত্তর দিলেন কিন্তু চ্যাটার্জিবাবু