আত্মদর্শন ও জীবনবোধ পর্যবেক্ষণ শেষে তা বায়োপিক রূপে কবিতায় প্রকাশ করা ক্ষমতা বটে। এর প্রকাশক হওয়া একজন পলিগ্যামীর পক্ষেই সম্ভব। কারণ, জীবনের আরও ভেতরে এমন কিছু অন্তর্লীন ঘুপচি পথ থাকে যা ঘুরেঘুরে দেখবার জন্য কোনো কোনো রহস্যপ্রাণ নিয়ত ক্রিয়াশীল। কবি ফরিদ ছিফাতুল্লাহ সেই ভাবসাধু, যিনি প্রকাশের সাবলীল ভঙ্গি বজায় রেখে তল্লাশে নিয়োগী সর্বদা। এই খোঁজ তার শক্তি। বলা যায়, আত্মবোধের গভীর পর্যালোচনার দিকে আয়না রাখতে এ বইয়ের অধিকাংশ কবিতা স্বেচ্ছা-সহযোগী। ফলে, দ্বিধাহীন জানানো যায়Ñকবিতাগুলোর ভাঁজে ভাঁজে পাঠকসম্প্রদায় পাবেন আত্মজীবনে ঘটা মায়া-ভ্রূণ। যা সকল কবির সামর্থ্যে সব সময় সহজসাধ্য নয়। কবিতাগুলো যেমন লুক্কায়িত জীবনের ঘৃণা, উপেক্ষা, বিদ্বেষ, অপ্রাপ্তি, ব্যর্থতা, হাহাকারমিশ্রিত দীর্ঘশ্বাসের লিখিত রূপ, তেমনি সত্য ও সুন্দরের মলাটবদ্ধ ফুর্তির হৃদয়বৃত্তি। উদ্দীপ্ত করবে আড়াই প্যাঁচে আঁটা প্রত্যাঘাতপ্রাপ্ত মানুষটিকেÑতাঁর কবিতা এবং কবিতাচিন্তা একদিকে উসকে দেয় বিচিত্র এলোপাথাড়ি উন্মাদনা। পরক্ষণেই চূড়ান্ত গ্রাস থেকে মুক্তি দিতে উদার আহ্বান জানায়। ‘বহুগামী রাস্তার মিমিক্রি’র অভিযাত্রায় আত্মসমর্পণ থাকুক- এ প্রত্যাশা নিশ্চয়ই সকল সহযাত্রীর। অরবিন্দ চক্রবর্তী