মুখোশ মুখোশ
রহস্যরোমাঞ্চে ভরা বিস্ময়ান্ত কাহিনির প্রতি পাঠককুলের আকর্ষণ বরাবরই বেশি। আর হবে নাই বা কেন, রহস্যের ঘেরাটোপে কাহিনিবয়ন বরাবরই বড় মুনশিয়ানার কাজ। কেননা কাহিনির প্রত্যেকটা মোচড়ে লেখককে রাখতে হয় সজাগ নজর। ঘটনার ঘনঘটা, যুক্তির চুলচেরা বিশ্লেষণ, গল্পের বিস্ময়ান্ত মোচড়, রহস্যের আলো-আঁধারি, সব মিশিয়ে তৈরি করতে হয় কাহিনির প্রেক্ষাপট। এমনই দুটি রহস্যে ঘেরা কাহিনির বর্ণন করেছেন লেখক সৌরীন চট্টোপাধ্যায় তাঁর এই “মুখোশ-মুখোশ” গ্রন্থে, “আস্তরাগ” ও “বাসবী”।
“অস্তরাগ” গল্পে নিপাত ভালোমানুষ সঙ্গীতশিল্পী শক্তিবাবুর বাড়িতে ভাড়াটিয়ের আত্মহত্যাকে ঘিরে ঘনীভূত হয় রহস্যের মেঘ। যা তোলপাড় করে তোলে শিল্পীর অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎকে। অন্যদিকে “বাসবী” গল্পে বৃদ্ধা বাসবীমাসির ভাড়াটিয়ের খুনের পিছনে আবিষ্কৃত হয় মাফিয়াচক্রের ছায়া।
দুটি ক্ষেত্রে কমন ফ্যাক্টর ভাড়াটিয়ের মৃত্যু। না, আরও একটা কমন ফ্যাক্টর আছে, দুঁদে পুলিশ অফিসার রাঘব দাস। দুটি ক্ষেত্রেই পরিত্রাতা তিনিই। কীভাবে রহস্যের আলো-আঁধারি গলিপথ হাতড়ে, হাজারও প্রশ্নের ঘেরাটোপ পেরিয়ে, নায়ক মুখোশের পিছনের মুখগুলোকে খুঁজে বের করেছেন, তারই ইতিবৃত্ত ছড়িয়ে রয়েছে কাহিনি দুটির পরতে-পরতে।