কিতাবের বর্ণনাঃ পবিত্র কুরআনুল কারীমে সূরা আশ-শুরার তেইশ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন, বলে দিন, আমি এর (এ রিসালাতের প্রচারের) বিনিময়ে তোমাদের কাছ থেকে কোনো প্রতিদান চাই না, (আমার) নিকটাত্মীয়ের (এবং আল্লাহ্র নৈকট্যের) প্রতি ভালোবাসা ব্যতীত। রাসূলে পাক a-এঁর এই নিকটাত্মীয়গণই আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম যাঁদের পবিত্রতার ঘেষণা এসেছে সূরা আহযাবের আয়াতে তাতহীরে (৩৩:৩৩): হে (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের) আহলে বাইত! আল্লাহ্ তো কেবল চান তোমাদের থেকে সব ধরণের গোনাহের অপবিত্রতা (এবং সন্দেহ ও ত্রুটিচিহ্ন পর্যন্ত) দূরে রাখতে এবং তোমাদেরকে (পরিপূর্ণ) পবিত্রতা দান করে সম্পূর্ণরূপে পাক-পবিত্র রাখতে। আহলে বাইতে খাসের পবিত্র নামসমূহ সুস্পষ্ট করা হয়েছে সূরা আলে ইমরানের আয়াতে মুবাহালার (৩:৬১) আয়াতখ অবতীর্ণ হলো: আপনি বলে দিন, আসো, আমরা (সমবেতভাবে) আহ্বান করি আমাদের পুত্রগণকে এবং তোমাদের পুত্রগণকে, আমাদের নারীগণকে এবং তোমাদের নারীগণকে, আমাদের নিজেদেরকে এবং তোমাদের নিজেদেরকে; অতঃপর আমরা মুবাহালা (অর্থাৎ বিনীতভাবে দোয়া) করি এবং মিথ্যাবাদীদের উপর আল্লাহ্র অভিসম্পাত কামনা করি। তখন রাসূলুল্লাহ a মাওলা আলী (কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহুল কারীম), ফাতিমা (সালামুল্লাহি আলাইহা), হাসান এবং হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-কে ডাকলেন। আর বললেন: এঁরা হলো আমার আহলে বাইত (আলাইহিমুস সালাম)। ফাজায়েল ও মানাকিবে আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম নামক এ কিতাবটিতে পবিত্র পাঁচ সত্তার অন্তর্গত মাওলা আলী (কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহুল কারীম), ফাতিমা (সালামুল্লাহি আলাইহা), হাসান এবং হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এঁর রাসূলে পাক ﷺ-এঁর সাথে নিবিড় সম্পর্ক, তাঁদের সুমহান মর্যাদা ও স্তুতিগাঁথা কুরআনুল কারীম ও হাদিস শরীফের আলোকে বিবৃত হয়েছে। আলে আবার পবিত্র পাঁচ সত্তায় আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম, ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ পবিত্র আহলে বাইত, যাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে প্রত্যেক আহলে ঈমান। আর তাই জানতে হবে আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম সম্পর্কে এবং নিরন্তর ভলোবাসতে হবে তাঁদেরকে। সুদৃঢ় সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে পবিত্র কুরআনুল কারীম এর সাথে এবং সুসংহত সম্পর্কে দৃঢ়ভাবে আকড়ে ধরতে হবে পবিত্র আহলে বাইত আলাইহিমুস সালামগণকে, তবেই সঞ্চিত হবে পরপারের পাথেয়; মুক্তি মিলবে আখেরাতে।