কিতাবের বর্ণনাঃ ইসলামের তৃতীয় খলিফা, খলিফায়ে রাশেদ সাইয়্যেদুনা উসমান ইবনে আফফান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু, যার সম্পর্কে নবীজি a বলেছেন: তাঁর ডান হাত মুবারক উসমানের হাত; আর তিনি (ﷺ) ডান হাতকে বাম হাতের উপর রেখে বলেছেন যে, এটি উসমানের বাইআত। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, সম্মানিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহী ওয়াসাল্লামের বলেছেন: আল্লাহ্ তাআলা আমার কাছে এ মর্মে অহি প্রেরণ করেছেন যাতে আমি হযরত উসমানের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে দিই। হযরত উবাইদুল্লাহ ইবনে আদী ইবনে খাইয়ার (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত এক দীর্ঘ হাদিসে সাইয়্যেদুনা উসমান (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাআলা সম্মানিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহী ওয়াসাল্লামেরকে সত্য সহকারে প্রেরণ করেছেন। আর আমি সেসব লোকের অন্তর্ভুক্ত যাঁরা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল ﷺ-এঁর আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন এবং নবীজি ﷺ-কে যে পয়গাম দিয়ে প্রেরণ করা হয়েছে তৎপ্রতি বিশ্বাসস্থাপন করেছেন। যেমনটি আমি বলেছি যে, আমি দুবার হিজরত করেছি, আমি নবীজি ﷺ-এঁর জামাতার মর্যাদা পেয়েছি। আমি নবীজি ﷺ-এঁর হাতে সত্যের বাইআত গ্রহণ করেছি। আল্লাহর শপথ! আমি কখনোও নবীজি ﷺ-এঁর সাথে নাফরমানি করিনি, কখনোই তাঁর সাথে প্রতারণা করিনি। বুখারী শরীফের হাদিসের আলোকে উসমান গণী ইবনে আফফান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু উম্মতের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বেশী বিনয়ী ব্যক্তি। নবী পাক ﷺ নুরের সাথে অর্থ্যাৎ, উসমান ইবনে আফফান (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এঁর সাথেই তাঁর কন্যা রুকাইয়া (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) ও উম্মে কুলসুম (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা)-এঁর বিয়ে দিয়েছিলেন। এ কারণেই আল্লাহ্ তা’আলা ফেরেশতাকুলে তাঁর নামকরণ করেছেন যুন নূর অর্থ্যাৎ, নুরের অধিপতি। আর জান্নাতে তাঁর নাম রেখেছেন যুন নুরাইন অর্থ্যাৎ, দুই নুরের অধিপতি, তাঁকে বলা হয় উসমান ইবনে আফফান যুন নূরাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)। আলোচ্য কিতাবটিতে বর্তমান শতাব্দীর মুজাদ্দিদ হুজুর শাইখ-উল-ইসলাম হাদিস শরীফের আলোকে খলিফায়ে রাশেদের তৃতীয় খলিফার মানাক্বিব অর্থাৎ স্তুতিগাথাঁর দলিল পেশ করেছেন। এ কিতাব অধ্যয়ন নবী পাক ﷺ-এঁর সাথে সাইয়্যেদুনা উসমান ইবনে আফফান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর সুগভীর সম্পর্ক ও তার মানাক্বিব জানতে সহায়তা করবে এবং তার প্রতি সকল আহলে ঈমানের ভালোবাসা সুদৃঢ় করবে ইন-শা-আল্লাহ্।