‘আজ সন্ধ্যায় আমি বাতাসে কান পেতেছিলাম। বাতাসে শুধু কান্না আর কান্না। ভাল কিছুর আশা করা যায়, তেমন কোন গুঞ্জন নেই বাংলাদেশের বাতাসে। যখন আশা করার কিছু থাকে না, তখন নৈরাশ্যকে বিশুদ্ধ করে তোলাই ভাল হবে।’ ‘কিভাবে সেটা?’ ‘নিজের কান্না নিজেকেই শুনতে হবে আমাদের। যার ঘর পুড়িয়ে দেয়া হল, সে তার বুকের মধ্যে নিজেকে পোড়াক। পুড়ে পুড়ে ছাই হোক তার অন্তর। ছাই থেকে শান্তির সোনা ফলতেও পারে। কেউ তাকে সাহায্য করতে গেলে, কেউ তার পাশে দাঁড়াতে গেলে, সে ছাই হবে না। আধপোড়া আলুর মতো অখাদ্য হবে সে। নিজেকে জানতে পারবে না। বিশুদ্ধ হবে না। বেঁচে থেকে জন্ম দেবে আরও অশুদ্ধ সব বংশজাত। আগুন নিভবে না কোন দিন।’ ‘অন্যায়কে বিনা প্রতিরোধে মেনে নিতে বলছ?’ ‘হ্যা, শক্তিহীনের প্রতিরোধ শক্তিমানের আক্রমণকে বৈধতা দেয়। এ দেশে এখন হিন্দুদের বিনা প্রতিরোধে মার খাওয়াই নিয়তি। প্রতিরোধ না করে মৃত্যুকে মেনে নিয়ে আমাদের উপলব্ধি উদ্ধার করতে হবে যে, মৃত্যু বলতে কিছু নাই।’ ‘গভীর নৈরাশ্যের কথা বলছ মা’ ‘না। বিশুদ্ধ নৈরাশ্যের কথা বলছি। বিশুদ্ধ হওয়া মানুষের উচ্চতম আকাঙ্ক্ষা। অন্য কোন পথ নেই বলে আমাদের নৈরাশ্যকেই এখন বিশুদ্ধ করতে হবে।’