ড্রাকুলাঃ ট্রান্সিলভানিয়ার অভিজাত এক ব্যক্তি বাড়ি কিনতে চান লন্ডনে। সেই সংক্রান্ত কাজে সেখানে পাঠানো হলো তরুণ জোনাথন হারকারকে। কিন্তু যাত্রাপথেই সে বুঝতে পারলো কিছু একটা ঠিক নেই। কাউন্ট ড্রাকুলার নাম শুনে কেন ভয় পাচ্ছে ওই অঞ্চলের মানুষজন? সবই কি ইউরোপের পিছিয়ে থাকা একটা অঞ্চলের মানুষের কুসংস্কার? নাকি আসলেই অদ্ভুত কিছু রয়েছে? পুরো অঞ্চলকে গ্রাস করে আছে একটি অতিপ্রাকৃত ছায়া! কিছু বোঝার আগেই ফাঁদে জড়িয়ে পড়লো জোনাথন। ইংল্যান্ডে কি আর ফেরা হবে তার? ওদিকে জোনাথনের প্রেমিকা মিনা ম্যুরে, তার বান্ধবী লুসি ওয়েস্টেনরা, ডাক্তার সেওয়ার্ড, আর্থার হোমউড, আমেরিকান পর্যটক কুইন্সি পি. মরিস, ভ্যান হেলসিং... সবাই নিজের অজান্তেই জড়িয়ে পড়লো এক ভয়ানক জালে। সেই অতিপ্রাকৃত ছায়া উঠে এসেছে ইংল্যান্ডের বুকে। রক্তপিশাচদেরকে কি থামাতে পারবে ওরা? জানতে পড়ুন ব্রাম স্টোকারের কালজয়ী উপন্যাস 'ড্রাকুলা'। পৃথিবীর সবচেয়ে সফলতম পিশাচ কাহিনিটির প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাংলাদেশি অনুবাদ। ____________________ কারমিল্লাঃ স্টিরিয়ার নির্জন এক জায়গায় বিরাট প্রাসাদ দুর্গে বাবার সাথে বাস করে লরা। লরার বাবা ইংরেজ হলেও জায়গাটার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি, তাই আর দেশে ফেরেননি। ইংল্যান্ড দেখা হয়নি লরার। খানিকটা দূরে কার্নস্টাইন গ্রাম, যেখানে এককালে বাস করতো এই অঞ্চলের শাসক 'কার্নস্টাইন বংশ। এখন আর সেই বংশের কেউ বেঁচে নেই, গ্রামটাও কোনো এক রহস্যময় কারণে একেবারেই ফাঁকা হয়ে গেছে! কেউ থাকে না ওখানে... ভয়ে! কীসের ভয়? হুট করেই ওদের বাড়িতে আগমন ঘটলো এক রহস্যময় অতিথির, লরার বয়সিই একটা মেয়ে। নাম কারমিল্লা... অপূর্ব সুন্দরী সেই মেয়েটি, যেন রূপে স্বর্গের দেবীদেরও হার মানায়। কিন্তু আসলে কে ও? কোথা থেকে এসেছে? কোথায় ওদের প্রাসাদ? এসব নিয়ে মেয়েটা কেন কিছু বলে না? জেনারেল স্পিয়েলসডর্ফের ভাতিজির রহস্যময় মৃত্যুর জন্য কে দায়ী? কাকে হন্য হয়ে লরাদের প্রাসাদের খুঁজছেন তিনি? আশেপাশের গ্রামগুলোতে কি কোনো রহস্যময় রোগ ছড়িয়েপড়ছে? যাতে আক্রান্ত হয়ে রক্তশূন্যতায় ভুগে মারা যাচ্ছে মেয়েরা? প্রতিদিন রাতে কোথায় যায় কারমিল্লা? কী করে বের হয় সে প্রাসাদ থেকে? হুট করেই কেন দুর্বল হয়ে যাচ্ছে লরা? ভয়াবহ দুঃস্বপ্নগুলো কেন হানা দিচ্ছে ওর স্বপ্নে? সত্যিই কি এমন কোনো পিশাচ আছে যারা মানুষের রক্ত চুষে নেয়? নাকি সবই পিছিয়ে থাকা পূর্ব ইউরোপের কুসংস্কার? এসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে 'কারমিল্লা'য়।
ব্রাম স্টোকার পুরাে নাম আব্রহাম ব্রাম স্টোকার। আইরিশ এই উপন্যাসিক ও গল্পকার গােটা পৃথিবীর কাছে বিখ্যাত। ড্রাকুলা'র লেখক হিসাবে। জন্ম ১৮৪৭ সালের ৮ই নভেম্বর আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে।। ছােটোবেলায় দীর্ঘকাল কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে। শয্যাশায়ী ছিলেন। মায়ের কাছে নানান রূপকথা আর কিংবদন্তি শুনে মূলত ভৌতিক সাহিত্যে আগ্রহ জাগে। তার। ১৮৭৫ সালে প্রকাশিত হয় উনার প্রথম উপন্যাস। ‘দ্য প্রিমরােজ প্যাথ'। পঞ্চদশ শতকের ওয়ালাচিয়ার। আলােচিত-সমালােচিত রাজকুমার ভাদ তেপস। ড্রাকুলা বা ভাদ দ্য ইম্পেলারকে নিয়ে যুবক বয়স। থেকেই প্রচণ্ড আগ্রহ ছিল তার। জে. সারিভন লে। ফানুর ‘কামিলা' পড়ে সর্বপ্রথম ভ্যাম্পায়ার ফিকশন। লেখার ইচ্ছা জাগে তার মনে।। ১৮৯৭ সালে প্রকাশিত হয় উনার সবচেয়ে বিখ্যাত উপন্যাস 'ড্রাকুলা' যেখানকার প্রধান চরিত্রটিকে তিনি। গড়ে তুলেছিলেন ভাদ দ্য ইম্পেলারের অনুকরণে। যদিও শুরুতে বইটি তেমন সাড়া ফেলেনি। ব্রামের মৃত্যুর কিছু বছর পর এই গ্রন্থটির জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে এবং একসময় বিশেষজ্ঞরা এটিকে কালজয়ী। গ্রন্থ হিসাবে মেনে নেন। অতিপ্রাকৃত সাহিত্যেও সবচেয়ে বিখ্যাত বই এটিই। প্রায় এক ডজন বইয়ের লেখক তিনি, তবে ড্রাকুলার। আকাশছােয়া জনপ্রিয়তার কারণে সেগুলাে নিয়ে আর। তেমন আলোচনা হয় না। তবে উনার ‘দ্য লেডি অফ। দ্য শ্রাউড', 'দ্য মিস্ট্রি অফ দ্য সি’, ‘দ্য স্নেকস পাস বইগুলাে কাল্ট ক্লাসিকের মর্যাদা পেয়েছে। এছাড়া ‘দ্য জুয়েল অফ সেভেন স্টারস’ আর ‘দ্য লেয়ার অফ। দ্য হােয়াইট ওয়ার্ম' উপন্যাস দুটিও পঞ্চাশের দশকের। পর মোটামুটি জনপ্রিয়তা পায়।। ১৯১২ সালের ২০শে এপ্রিল ইংল্যান্ডের লন্ডন শহরে। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান হরর সাহিত্যের এই মহান লেখক।