যদি একজন নারীকে জিজ্ঞেস করা হয়, ‘তোমার পরিচয় কী?’ তাহলে কী উত্তর আসবে বলুন তো? কেউ হয়তো বলবে, আমি অমুক কোম্পানীর অনার। কেউ বলবে, আমি টিচার। কেউ বলবে, আমি হাউসওয়াইফ... এই ধরনের আরও বিভিন্ন উত্তর আসবে উক্ত প্রশ্নের জবাবে। লক্ষ করে দেখুন, একটি উত্তরেও আপনি নারী হিসেবে তার পরিচয় কী, তা খুঁজে পাবেন না। সবগুলোই ব্যক্তিগত পরিচয়। তাহলে একজন নারীর পরিচয় কী? আত্মপরিচয়। হ্যাঁ, এই পরিচয়ই মানুষের সবচেয়ে বড় পরিচয়। পুরুষের যেমন আত্মপরিচয় আছে, নারীরও তেমন আত্মপরিচয় আছে। প্রশ্ন হলো, তা আপনি জানেন তো? ইসলাম নারীকে নিয়ে কী বলে, ইতিহাসের আয়নায় কেমন দেখায় নারীর রূপ-চরিত্র, এ নিয়েই আমাদের আয়োজন ‘সালিহাত’। এই পরিচয় যতক্ষণ পর্যন্ত না জানা যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত নারী নিজেকে চিনতে পারবে না। কারণ, ইসলাম নারী ও পুরুষ, উভয়ের জন্য এক সুনিপুণ জীবনব্যবস্থা প্রণয়ন করেছে। তাই নারীকে জানতেই হবে, ইসলামের দৃষ্টিতে তার অবস্থান ও মর্যাদা কী? নচেৎ ফেমিনিজমের বিষাক্ত চিন্তা বিষের মতো এসে বিঁধে যাবে নারীর মস্তিষ্কে। সালিহাতে শুধুই ইসলামের দৃষ্টিকোণ তুলে আনা হয়নি। বরং ইতিহাসের পাতা ঘেঁটে বিভিন্ন সমাজ ও পরিবেশের দৃষ্টিভঙ্গিও তুলে আনা হয়েছে। আর সেগুলোকে দাঁড় করানো হয়েছে বর্তমানের বিষাক্ত সেকুলারিজম চিন্তা ও ফেমিনিজম চিন্তার মুখোমুখি। আপনি, হ্যাঁ আপনি নিজেই খুঁজে ও মিলিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন, নারী মূলত কী? তাহলে চলুন, আমরা নিজেদের চোখেই দেখে নিই, নারীর আত্মপরিচয় কী! আপনার সালিহাতযাত্রা শুভ হোক।