ফ্ল্যাপে লিখা কথা বাংলাদেশ কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা হায়দার আকবর খান রনো (জন্ম ১৯৪২) একদিকে জননেতা ,অপরদিকে তাত্ত্বিক ও লেখক। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা সতেরো। রাজনীতি, অর্থনীতি, দর্শন এমনকি সাহিত্য ও বিজ্ঞানের ওপরও তাঁর অজস্র লেখা রয়েছে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় রণাঙ্গনের সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক।ষাটের দশক থেকে সকল গণআন্দোলনে তিনি ছিলেন সামনের কাতারে। ১৯৮২-১৯৯০-এর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন ও ১৯৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম রূপকার। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বার বার কারাবরণ করেছেন অথবা হুলিয়া নিয়ে আত্নগোপনে থেকেছেন। অনেক আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট সম্মেলনে এবং বহু বিদেশী পার্টির কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। তাঁর কিছু লেখা বিদেশি ভাষায় অনূদিত হয়ে ছাপা হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য।
সূচিপত্র প্রথম পর্ব * উত্তর কালের মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় * মজুর কৃষাণের মুক্তিসংগ্রামের কবি বিষ্ণু দে * রাহুল সাংকৃত্যায়ন * কালিদাসের মেঘেদূত: মূল সংস্কৃতি থেকে বাংলায় * হরিপদ দত্তের মোহাজের ও রাজনীতির কথা * প্রতিবাদী কবির নান্দনিক কণ্ঠস্বর * মামুনুর রশীদের নাটক চে’র সাইকেল
দ্বিতীয় পর্ব * বৈজ্ঞানিক এবং ভিন্ন একজন আইনস্টাইন * স্টিফেন হকিং ও তার মহাবিশ্ব তত্ত্ব
Hayder Akbor Khan Rano জন্ম : ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দ, কলিকাতা। হায়দার আকবর খান রনো বাংলাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের শীর্ষস্থানীয় নেতা। একই সঙ্গে জননেতা ও তাত্ত্বিক। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা তেইশটি। রাজনীতি, অর্থনীতি, দর্শন, বিজ্ঞান ও সাহিত্য নিয়ে তিনি গ্রন্থ রচনা করেছেন। প্রবন্ধের সংখ্যা অসংখ্য। ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যার ছাত্র থাকা অবস্থাতেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তখনই নিষিদ্ধ ঘোষিত গোপন কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন। কমিউনিস্ট আন্দোলনের বিভিন্ন ভাঙা-গড়া ও বাঁকমোড়ে তিনি ভূমিকা রেখেছিলেন। ’৬২-র সামরিক শাসনবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা, ষাটের দশকে নতুন ধারার জঙ্গি শ্রমিক-আন্দোলনের অন্যতম স্থপতি, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক, ’৭১-এর রণাঙ্গনের সৈনিক, ’৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম রূপকার হায়দার আকবর খান রনো’র জীবন বৈচিত্র্যে ভরপুর। বারবার কারাবরণ ও আত্মগোপন জীবন এবং রাজনৈতিক সংগ্রামের পাশাপাশি তিনি লিখে চলেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য।