বই পর্দা নারীর অলংকার লেখক মো. আলমগীর হিজাবের অর্থ যদি হয়, নারীর মুখমণ্ডল খোলা রাখা, বা চোক্ষু খোলা রাখা। তবে এই হিজাব যায়েজ নয় নারীর মুখ খোলা রাখা। অনেকেই বলে থাকেন, হিজাব আমার পরিচয়! এই হিজাবের অর্থই যদি মুখ খোলা রাখা হয়, তবে পর্দা তো নয় যেনো, পর্দার নামে নামে অভিনয়। একজন নারী সাবালিকা হওয়ার পর, নন-মাহরাম পুরুষের সামনে, মুখমণ্ডল খোলা রাখা তো দূরের কথা, চোক্ষুও খোলা রাখা যায়েজ নয়। মাহরাম পুরুষের সামনে, একজন নারী হাতের কবজি সহ, মুখমণ্ডল খোলা রাখতে পারবে, এটাই ইসলামের মূল পরিচয়। বাবা, ভাই, ভাতিজা, এবং ভাগিনা, স্বামী, এবংস স্বামীর ছেলে ও নিজের ছেলে, এবং শ্বশুর। এরাই হবে মাহরাম পুরুষ। এরাই নারীর পাহারাদার, মাহরাম পুরুষ ব্যতীত নারীর, বাহিরে যাওয়া নিষিদ্ধ রয়েছে শতবার। মাঝেমধ্যে বিশেষ কোনো জরুরী কাজে, হাতের কবজি থেকে বা একটু উপরে, কাপড় তুলতে পারবে নারী, তাও মাহরাম পুরুষদের সামনে। যেমন আটা মাখার সময়, কাপড় একটু উপরে তুলতে হয়। মাহরাম পুরুষদের সামনে, এতে গুনাহ নয়। পায়ের সাহায্যে অনেক সময় নারীর, অনেক কাজ করতে হয়, যেমন কাপড় মোচড় দিয়ে ধুয়ে নিতে হয়, মোটা কাপড় হলে, এতে মাহরাম পুরুষদের সামনে গুনাহ নাই নিয়ম মানার ফলে। স্বামীদের জন্য স্ত্রী ছেড়ে, তিন মাসের বেশি বাহিরে থাকা যায়েজ নয়। স্বামী বাহিরে বা বিদেশে থাকে এমন স্ত্রীদের ঘরে, প্রবেশ করা পুরুষের জন্য যায়েজ নয়। কোনো নারীর সাথে একান্তে আলাপ করা, কোনো পুরুষের জন্য যায়েজ নয়। সাবালিকা মেয়েদেরকে দুইভাইয়ের সঙ্গে, একান্তে ছেড়ে দেওয়া বা চেহারা দেখানো, অথবা আলাপ করা, কোনোটাই যায়েজ নয়। কোনো দেবর ভাবির সঙ্গে , একাকী স্থানে অবস্থান করা বা চেহারা দেখা যায়েজ নয়।