খ্রিষ্টীয় ঊনবিংশ শতাব্দীর ঠিক মাঝামাঝি সময়ে মাওলানা রাহমাতুল্লাহ কিরানবির নাম প্রথমবারের মতো আলোচনায় আসে; যখন তিনি এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করে ভারতবর্ষের ইতিহাসে ইসলাম ও মুসলিমদের জন্য বিরাট অবদান রাখেন। তখনই পুরো ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়ে তাঁর নাম। তারপরই মূলত ভারতবর্ষের সীমানা ছাড়িয়ে পুরো পৃথিবীতে তিনি পরিচিতি লাভ করেন। অতীতে সুলতান সালাহুদ্দিন আইয়ুবির ঘোড়ার পদধ্বনিতে যেমন খ্রিষ্টবিশ্বের রাতের ঘুম হারাম হয়েছিল, তেমনি ঊনবিংশ শতাব্দীতে এসে যাজক, পাদরি আর মিশনারিদের ঘরোয়া সভা-সমাবেশে মাওলানা কিরানবির নামটাই তাদের কাছে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মাওলানা ভারতবর্ষের এমন এক সংকটাপন্ন সময়ে ইসলামের সুরক্ষার জন্য লড়াই শুরু করেন, যখন তা ধ্বংসের একেবারে দ্বারপ্রান্তে এসে উপনীত। সেই সময় ভারতবর্ষের বুক থেকে ইসলামের নামনিশানা মুছে দিতে এক স্বৈরাচারী সরকার তার শক্তি-সামর্থ্যের সবটুকু নিয়ে মাঠে নামে। কিন্তু আল্লাহ এই অশুভ শক্তিকে দমাতে মাওলানার মতো কীর্তিমান মনীষীকে চয়ন করেন। তিনি খ্রিষ্টানদের বাঁধভাঙা জোয়ারের মুখে দাঁড়িয়ে শক্তিশালী ও দুর্ভেদ্য একটি প্রাচীর নির্মাণ করেন; যা জোয়ারের উত্তাল ঢেউকে থামিয়ে দেয়।