ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা `ঘেরের মানুষ’ সম্পূর্ণ নতুন মাত্রার উপন্যাস। এতে একদিকে আছে জীবনের গল্প, অন্যদিকে জীবনদর্শনও। তারপরও এটা কোন জীবনদর্শন নয়, গল্পমাত্র, মানুষের জন্ম-বিকাশ-ঘেরে ঘোরার-হা পিত্যেশ করার গল্প।অত্যন্ত-সহজ সরল চমৎকার ভাষায় লেখা এ গল্প-উপন্যাস সহজেই পাঠকদের হৃদয় মন জয় করতে সক্ষম হবে। প্রকাশক ভূমিকা উপন্যাস গল্পের ভূমিকা প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না, তবুও এই এক ঘেয়ে কাজটি প্রকাশক চাইছেন বলে করতে বসেছি ফ্যাকাশে মুখ।অনেক মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। নাম ধরে প্রকাশে বিষয়টি হালকা হয়ে যাবে। তবু বলতেই হয় আমার উপন্যাসের চরিত্র ‘মদন’-এর মত , কিংবা ‘মক্তুব হুছেন’-এর মতো নিজেও ‘অপনা মাঁসে হরিনা বৈরি’ এক ঘেরে আবদ্ধ দারুবহা নদীর মোহনায় জলে খল বলানো ভীষণ প্রাকৃত মানুষ।চার বছর ধরে ‘ঘেরের মানুষ’ লিখতে বার বার পোগন ইচ্ছেটি বুকের ভেতর কষে চেপে ধরতো আমায় যে এর পাণ্ডুলিপিটি আখতারুজ্জামান ইলিয়াস বেঁচে থাকলে তার কাছে প্রথম নিয়ে যেতাম।দূরপণেয় বালসুলভ ইচ্ছে।আমার একটি গল্প পড়ে তার যে মন্তব্য তা দূর বাতিঘরের মতো আজও ঈশারা করে নক্ষত্রেরা ঘুমিয়ে গেলে যে পথে কেউ যায় না সে পথে।কৃতজ্ঞ আমার দাদা ভাইয়ের কাছে এবং মাহবুব ভাইয়ের কাছে তো অবশ্যই। তবুও চূড়ান্ত বিচারে ‘ঘেরের মানুষ’ উপন্যাসের যা কিছু সীমাবদ্ধতা, তার দায় লেখকেরই বলে স্বীকার করে নিচ্ছি।আর এর যা কিছু সীমাহীন তা প্রিয় পাঠক আপনারই। এটি জীবনদর্শন নয়, গল্পমাত্র, মানুষের জন্ম-বিকাশ-বত্তে-ঘেরে ঘোরার-হা পিত্যেশ করার---- গল্প! ‘জয় হোক মানুষের’ জাহানারা নূরী