প্যাস্টিশ লিখতে হলে, মূল লেখকের অরিজিনাল স্টাইলটি মেনে চলতেই হবে। তবে ফ্যান ফিকশন লিখতে গেলে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা থাকে না। একটি সফল প্যাস্টিশ লেখার জন্য গবেষণা করা অত্যন্ত জরুরী। পাঠক হয়ে যখন তরতর করে বইটি পড়ে চলেছেন তখন এক কথা, আর যখন লেখকের জুতোয় পা গলিয়ে তাঁকে যথাযথ ভাবে অনুকরণ করে লেখার চেষ্টা করছেন সে আরেক কথা। কাজটি বলতে গেলে অপরিসীম কঠিনও। বাঙালি গোয়েন্দাদের মধ্যে অগ্রগণ্য হলেন ফেলুদা। ফেলুদাকে নিয়ে প্যাস্টিশ নেই, তবে ফ্যান ফিকশন আছে বেশ কিছু। ফেলুদার প্রথম গল্পের পঞ্চাশ বছপূর্তি উপলক্ষে ‘টগবগ’ পত্রিকার উৎসব সংখ্যার (২০১৬) জন্য প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লিখেছিলেন ফেলুদা প্যাস্টিশ ‘রাজধানীতে তুলকালাম’। যা প্যাস্টিশ হিসেবে কলকাতার পাঠকদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠে। কলকাতার পর এবার বাংলাদেশে পুঁথি পুরাণ হতে প্রকাশিত হচ্ছে প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ফেলুদা প্যাস্টিশ ‘রাজধানীতে তুলকালাম’। সাথে থাকছে লেখকের একেবারে নতুন আরেকটি ফেলুদা প্যাস্টিশ ‘টেরাকোটা টালমাটাল’। দুটি বইয়েই থাকছে অভীক কুমার মৈত্র-এর চমৎকার সব ইলাস্ট্রেশান ! রাজধানীতে তুলকালাম: যাওয়ার আগের দিন ফেলুদা বলল ‘তোপসে, চট্ করে তৈরি হয়ে নে তো, একবার সিধুজ্যাঠার বাড়ি ঘুরে আসি। দিল্লীর আসল ইতিহাস জানার জন্য কোন অলিগলিতে ঘুরতে হবে সেটা উনি ছাড়া আর কে বলবেন?’ তৈরি হওয়ার জন্য ভেতরের ঘরে যেতে গিয়ে হঠাৎ হুডিনির বইটা চোখে পড়ায় মনে হলো, রাজধানীতেও কী ফেলুদার বরাতে গোয়েন্দাগিরি নাচছে? কে জানত যে, দিল্লী পৌঁছনোর আগেই ফেলুদার হাতে মোক্ষম এক কেস এসে পড়বে। টেরাকোটা টালমাটাল: লালমোহনবাবু উত্তেজনার চোটে আমার কনুইটা খামচে ধরলেন, “বলেন কী মশাই! জঙ্গলের মধ্যে ভাঙা মন্দির! এরকম থ্রিলিং ব্যাপার মিস করা যায় নাকি! বাঘটাঘ না থাকলেই হলো।”