করোনাকালে গৃহবন্দি হয়ে থাকবার জন্য মনটা খুব বিষণ্ণ হয়ে থাকতো। চারিদিকে এত মৃত্যু, এত হাহাকার, এই বিভীষিকা থেকে পরিত্রান পাবার জন্যই লেখা শুরু করি। জীবনের টুকরো টুকরো ঘটনা দিয়ে এই বইটা সাজিয়েছি। পথ চলতে গিয়ে যে স্মৃতিগুলি মনে দাগ কেটে গেছে, সেই মুহূর্তগুলিকে তুলে ধরবার চেষ্টা করেছি। মনের যত দুঃখ, কষ্ট, সেগুলোকে ভুলে গিয়ে, পৃথিবীতে যা কিছু সুন্দর, সেটা গান হোক, প্রকৃতি হোক, সেগুলোকে বড় করে দেখা, এটাই হচ্ছে জরুরী। মনে প্রশান্তি বয়ে আনে। প্রায় পঁচিশ বছর আগে কিছু লেখা তৈরি করেছিলাম। তারপর এই দীর্ঘকাল আর কিছু লেখা হয়নি। কিন্তু ইচ্ছা ছিলই আবার লিখবো। গান, ছবি আঁকতে যেমন, লেখাতেও ওয়াহিদ ভাই-এর প্রভাব আছে অনেক। আমার জীবনবোধ এর সাথে ওতপ্রোতো ভাবে জড়িয়ে আছেন তিনি। প্রথমদিকের লেখা তাঁকে পড়িয়েছি। তাঁর আশা ছিল মনে, একদিন আমি লিখব! যাঁদের অনুপ্রেরণা ও সাহায্য ছাড়া এই বইটি প্রকাশ করা কোনোভাবেই সম্ভব হতো না- লেখক ও গবেষক মফিদুল হক ও বন্ধু ও সুহৃদ আলোময় বিশ্বাস- তাঁদেরকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই! মফিদুল ভাই আমার গান, ছবি আঁকা লেখা, সব কিছুর সাথেই যুক্ত ছিলেন। তাঁর সহানুভূতিশীল অনুভূতি আমার জন্য বিরাট শক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে সব সময়। তাঁর কাছে আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। নতুন করে লিখবার জন্য আমাকে যাঁরা প্রেরনা যুগিয়েছেন তাঁদের মধ্যে প্রথমেই কবি ও সাংবাদিক বেলাল চৌধুরীর কথা বলবো, কলকাতার লেখক ও অনুবাদক সোমনাথ মেহ্তা, আমার অত্যন্ত শুভাকাঙ্ক্ষী ডক্টর জিনাত ইয়াস্মিন আলম, ঢাকার বহুকাল ধরে পরিচিত বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ী পার্থ সারথি শিকদার। লেখাগুলো পড়ে উৎসাহ দিবার জন্য সবথেকে বেশী যাঁর কথা বলবো, সেটা হচ্ছে পার্থ সারথি। ধন্যবাদ জানাই প্রবাসী লেখিকা, নিমান্ সোব্হানকে। আরও যাঁরা আমাকে নানা জায়গায় বেড়াতে নিয়ে গেছেন, যাঁরা আতীথেয়তা করেছেন, অনেক সময় দিয়েছেন আমাকে- সুন্দর স্মৃতি রয়ে গেছে মনে, তাঁদেরকেও আমার অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাই। আমার এই ক্ষুদ্র লেখাটির পিছনে এতগুলো মানুষের অবদান আছে, সে কথা কখনই ভুলবো না।