বিমূর্ত দহন, উপন্যাস নিয়ে দুটি কথা কন্যা-জায়া-জননী, একটা সংসারের একটা কন্যা শিশুর জন্ম নিলে, তাকে ঘিরে তৈরি হয় একটা পরিবার। এই পরিবারে প্রধান উপদেষ্টা একজন বাবা। আমরা যতই বলি না কেন নারীরা এগিয়ে! আসলে কি নারীরা এগিয়ে? ইসলাম নারীকে সর্ব মর্যাদা দিয়েছেন ঠিকই! সত্যি কি নারীরা মর্যাদা পায়? পবিত্র কোরআন ঘোষণা দিয়েছেন জননীর পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত। তাহলে আমাদের পুরুষশাসিত সমাজে মা-বাবার সেপারেশনের পর বাবাই সন্তানের মালিক! বাবারা সন্তানকে জোরপূর্বক নিয়ে যায় কেনো? কয়'জন নারীর ক্ষমতা আছে আইন আদালত করে সন্তান ফিরে পাওয়ার? আসলে সবসময়ই কন্যা-জায়া-জননীদের নিজের কোন বাড়ি থাকে না! বাবার বাড়ি, শ্বশুরবাড়ি, স্বামীর বাড়ি, শেষে ছেলের বাড়ি। স্বামীর সঙ্গে সেপারেশন বা ডিভোর্স হলে সন্তানের মালিকও জননীরা হয় না। তখন তাদের হয় চরম দুর্গতি! তাই বলবো নারীরা স্বাবলম্বী হও নিজের পায়ে দাঁড়াও... আমার অনুরোধ, প্রতিটা কন্যা সন্তানকে জোরপূর্বক বিয়ে না দিয়ে, পড়াশোনা সুযোগ করে দিয়ে নিজের মত করে বাঁচতে শিখান। "বিমূর্ত দহন" উপন্যাস থেকে আমরা অন্তত এইকুটু শিক্ষা নিতে পারি। আমি আশা করবো পাঠক সত্য ঘটনার এই উপন্যাসকে সাদরে গ্রহণ করবেন। তবেই আমার সামান্য প্রচেষ্টা সফল হবে।
জন্ম: ১০ ডিসেম্বর ১৯৭০ নোয়াখালী সদর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতা: মরহুম আব্দুল মালেক একজন সমাজ সেবক ছিলেন। মাতা: ফয়জুন নেছা। সাত ভাই বোনের মধ্যে তিনি পঞ্চম। সেই ছোটবেলা থেকে খুব রুচিশীল, চঞ্চল, ডানপিটে প্রকৃতির মেয়ে ছিলেন। হাই স্কুলের সীমানা পার হতে না হতেই পরিবার পরিজন সুশিক্ষিত পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেন। ১৮ বছর বয়সে তিনি মাতৃত্বের স্বাদ গ্রহণ করেন। সাহিত্য চর্চা: তিনি শখ করেই কবিতা, গল্প, ছড়া, প্রবন্ধ, ভ্রমণ কাহিনি, উপন্যাস লেখা শুরু করেন। লেখালেখির অভ্যাস ছোটবেলার থেকেই। পরবর্তীতে নানান প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে কৌশলে পড়ালেখাসহ, সন্তান মানুষ করা, সব কাজ দক্ষতার সাথে এক লড়াকু নারী হিসেবে এগিয়ে যান। অর্জন: বাংলা সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ ২০১৮ সালে জাতীয় কবি পরিষদ "জাকপ" সম্মাননা অর্জন। বিভিন্ন কবি ও সাহিত্য সংগঠন সম্মাননা অর্জন করেন প্রায় পনেরোটির মত। বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল, পত্রিকা/ম্যাগাজিনে নিয়মিত লেখালিখি করছেন। ২০২১ সালে বীর চট্টলা অ্যাওয়ার্ড হিসেবে ক্লিক মেগাজিনে তাঁর জীবনী স্থান পেয়েছে। এছাড়াও তিনি ভাবনা টেলিভিশন এর ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) পদে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২২ সালে রবীন্দ্র সাহিত্য পরিষদের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি নারী নিরন্তর অর্গানাইজেশন এর ভাইস চেয়ারম্যান ঢাকা বিভাগ এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি ও উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।