জীবনের সমস্ত দুশ্চিন্তা, বিষাদ, মর্মব্যথা যখন অসহনীয় হয়ে যায় তখন তা সম্পূর্ণরূপে কারো নিকট সমর্পণ করতে ইচ্ছে করে। কিন্তু বাস্তব জগতে যতই মায়া, মমতা কিংবা ভালোবাসা থাকুক, কারো নিদারুণ উদ্বেগ বা মনস্তাপ বহন করার শক্তি অন্য কোনো মানুষের নেই। তখন এক পরাক্রমশালী শক্তির নিকট মানুষ আশ্রয় খুঁজে, যিনি এই ভার বহন করতে সম্পূর্ণরূপে সক্ষম, হৃদয়কে হিল করতে সক্ষম, রিভাইভ করতে সক্ষম। এই আশ্রয়ের নাম বিশ্বাস। বিপদগ্রস্থ অবস্থায় আশাবাদ মানুষের ব্রেইন এবং অন্তঃকরণে এমন এক প্রবল ইতিবাচক শক্তি প্রবাহিত করে যে স্ট্রেস হরমোন লেভেল কমতে শুরু করে, অন্তরে এত প্রশস্ততা দেয় যে সমস্ত ভয় এবং সংকীর্ণতা দূর হয়ে যায়। বিশ্বাস জীবনের পথকে রুদ্ধ করে না, বরং জীবনকে সুরক্ষিত করে। সমস্ত হতাশা, ব্যর্থতাকে একপাশে রেখে নিজের সবটুকু শক্তি দিয়ে গভীরভাবে শুধু নিজেকে ভালোবেসে দেখুন; পৃথিবীর মানুষ তাদের সাহায্য এবং ভালোবাসার হাত বাড়িয়েই আছে, শুধু নিজেদের ভেতরই সেই ভালোবাসার প্রতি সন্দেহ এবং অবিশ্বাস!জীবনে সফলতার জন্য পুরষ্কার পৃথিবীর মানুষরাই দিয়ে থাকে, সম্মান এবং ভালোবাসা দিয়ে, কিন্তু মেন্টাল টরমেন্ট সহ্য করার পুরস্কার তো সষ্ট্রা স্বয়ং দিয়ে থাকেন। মানুষকে শুধু সাহস ধরে রাখতে হবে এবং বিশ্বাস রাখতে হবে পরিস্থিতি বদলাবে, সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। অবশ্যই সব ঠিক হয়ে যাবে এবং সব ঠিক হয়ে যায়! যার হার্ডশীপ যত গভীর হয়ে থাকে, তার স্বস্তি এবং পুরস্কার ততটাই বড় হয়ে থাকে। এজন্য দৃঢ় মনোবল এবং ধৈর্যের সাথে জীবনের তমসাবৃত সময়কে অতিবাহিত করতে হবে, কারণ খুব নিকটেই কল্যান এবং পুরস্কার অপেক্ষা করছে! নিশ্চিতভাবেই!!