বাবুরা গল্প শুনতে চায়। বিশেষ করে ঘুমের সময় গল্প না বললে ঘোমাতে চায় না। আবার প্রতিদিন নতুন নতুন গল্প বলতে হবে। আগেরটা শুনতে চায় না। ভীষণ বিপদ। আর না হলে মোবাইল দিতে হয়। আজেবাজে জিনিস দেখে। সহ্য করার মতো না। ফাতেমা-মুআজের আম্মুর এমন অভিযোগ নিত্যদিনের।
. বাড়ি থেকে এসে ওদের জন্য গল্পের বই কিনতে ঘুরছিলাম পল্টনের ফুটপাত দিয়ে। পেয়ে গেলাম ‘ঠাকুর মার ঝুলি’। বাসায় ফিরে পড়তে লাগলাম। বুঝতে পারলাম, কোনো মুসলিম তার সন্তানকে এই বই দিতে পারে না। কারণ, এই বই পড়লে বা এর গল্প শুনলে একটা বাচ্চার হিন্দু হতে বেশি দেরি লাগবে না। .
কথা বললাম চিন্তাশীল সহকর্মী বিশিষ্ট দাঈ মুফতি রিজওয়ান সাহেবের (সাবেক শিক্ষক মাদরাসা দারুর রাশাদ) সাথে। বললেন, আপনি এরকম একটি বই লিখে ফেলুন। শুধু সমালোচনা করলেই তো হবে না, পাঠকের হাতে কিছু দিতেও হবে। চেষ্টা করুন, এর চেয়ে ভালো পারবেন। ইনশাআল্লাহ... .
ঐ বইয়ের গল্পগুলোকে সামনে রেখেই লিখতে শুরু করলাম। লিখে ফেললাম কয়েকটি গল্প। গল্পগুলো পড়তে দিয়েছিলাম কয়েকজনকে। সবাই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আপনার সোনামণির জন্যও নির্বিঘ্নে বইটি নিতে পারেন। গল্পগুলো শুনলে ও মজা পাবে। শিখতে পারবে অনেককিছু।