গল্পকার জুলকারনাইন স্বপন কয়েক যুগ ধরে সত্য ও সুন্দরের চর্চা করে চলেছেন। তাঁর কর্মক্ষেত্র কুড়িগ্রাম হলেও আগ্রহ সমগ্র উত্তরবঙ্গ নিয়ে। এই অঞ্চলের নদীবিধৌত, নদীনির্ভর ও নদীভাঙা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য তিনি বুকের গভীরে এক প্রবল ভালোবাসা বহন করেন। কর্মচেতনার নিরন্তর চর্চাকে ধারাবাহিক রাখার জন্য তিনি আশ্রয় করেছেন বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনকে। কর্মীর ঘামে ভেজা শ্রম দিয়ে পথ দেখিয়ে চলেছেন বিপর্যস্ত সমকালের দিশাহীন পরিব্রাজকদের। চারপাশের ঘটনাবলীর দুর্মর অভিঘাত তাঁর মনে বিচিত্র অনুভূতির সৃষ্টি করে। তাই তিনি সাহিত্যের আশ্রয় নেন। জীবনের সহিত যাহা তাহাই তো সাহিত্য। পৃথিবীতে মানুষ প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করছে জীবনের সাথে। চলমান এই জীবনে মানুষের ভেতরে ক্রিয়া করে বিচিত্র ভাবনা। আবার পৃথিবীতে রয়েছে বিভিন্ন পেশার মানুষ। প্রত্যেকেরই জীবনে আছে একটি দর্শন বা মতবাদ। সে তার মতো নিজস্ব ভাবনা ও দেখার উপর ভর করে চালিত করে জীবনকে। শত শত কোটি মানুষের এই পৃথিবীতে জীবনের আড়ালে অনেক বিষয় থেকে যায় আমাদের অজানা। ‘গোরখোদক’ গল্পগ্রন্থে লেখক সেই বিষয়গুলি সুনিপুনভাবে তুলে ধরার প্রয়াস নিয়েছেন। গল্প বয়ানের কিংবা বিষয়ের ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি গল্পের রয়েছে স্বাতন্ত্রিক বৈশিষ্ট্য।
সুশান্ত বর্মণ অনুবাদক, প্রাবন্ধিক ও সহকারী অধ্যাপক বাংলা বিভাগ, কুড়িগ্রাম সরকারী মহিলা কলেজ