কুরআন নাযিলের মূল উদ্দেশ্যই হল তাকে বুঝা, অনুধাবন করা ও সে অনুযায়ী কাজ করা। কুরআন অনুধাবন করে পাঠ করলে পাঠকের ঈমান বৃদ্ধি পায়। প্রতিটি আয়াত ও সূরা তার মনের মধ্যে গভীরভাবে রেখাপাত করে। কারণ এসময় তার চোখ-কান-হৃদয় সবকিছু কুরআনের মধ্যে ডুবে থাকে। কুরআনের শব্দালংকার বুঝদার পাঠকের অন্তরে ঝংকার তোলে। জীবন সংশ্লিষ্ট বহু বৈধ-অবৈধ বিষয় মানুষ জানতে পারবে কুরআন অনুধাবনের মাধ্যমে। কুরআন মূর্খতা ও পথভ্রষ্টতা থেকে মুক্তি দেয়। মুমিনগণ এর মাধ্যমে অন্ধকারে আলোর পথ খুঁজে পান। অবিশ্বাসীরা নয়। কেননা মুমিনগণ কুরআনের হালাল-হারাম মেনে চলেন। কুরআনুল কারিম মানবজাতির জন্য অমূল্য এক নিয়ামত ও পথপ্রদর্শক। আমরা মুসলিমরা প্রতিনিয়ত সালাতের মধ্যে ও বাহিরে কুরআন তিলাওয়াত করি। বিশেষ করে, আমরা প্রায়শই কুরআনের শেষ দশটি সূরা তিলাওয়াত করে থাকি। তবে সালাতে বা সালাতের বাহিরে তিলাওয়াত করার পাশাপাশি আমরা যদি সূরাগুলো নিয়ে ভাবতে শিখি এবং তা থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা আমাদের জীবনে কাজে লাগাই, তাহলে কতই না ভালো হয়! বক্ষ্যমাণ বইটি সকল ভাইবোনদের জন্য এমনই এক আয়োজন। এতে কুরআনে কারিমের শেষ দশটি সূরার পটভূমি, তাদাব্বুর ও শিক্ষা সন্নিবেশিত হয়েছে। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে এগুলো রিমাইন্ডার হিসেবে কাজ করবে ইন শা আল্লাহ। কুরআনিক রিমাইন্ডার-২ যে সূরা সমূহ রয়েছে:- • সূরা নাসর • সূরা লাহাব • সূরা ইখলাস • সূরা ফালাক • সূরা নাস
পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন লেখক এবং ইসলামি বক্তা নোমান আলী খান এর বই সমূহ ধর্মীয় যুক্তিতর্কের জন্য মুসলিমদের নিকট জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তার ‘ডিভাইন স্পিচ: এক্সপ্লোরিং কুরআন অ্যাজ লিটারেচার’ বইটি মুসলিম বিশ্বে বেশ আলোড়ন তোলা একটি বই। এ বই তাকে লেখক এবং ধর্মীয় যুক্তিবিদ হিসেবেও খ্যাতি এনে দিয়েছে। বর্তমানে তিনি ‘দ্য বাইয়্যিনাহ ইন্সটিটিউট ফর অ্যারাবিক অ্যান্ড কুর'আনিক স্টাডিজ’ এর সিইও এবং প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৬ সালে তিনি এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন। আমেরিকান মুসলিদের নিকট তুমুল জনপ্রিয় এ বক্তা তার ইসলামিক জ্ঞান এবং যুক্তি-তর্কের দ্বারা মুসলিম বিশ্বের অন্যতম পরিচিত মুখে পরিণত হয়েছেন। ইসলামিক ব্যক্তিত্বদের জীবনীভিত্তিক ‘দ্য ফাইভ হান্ড্রেড মোস্ট ইনফ্লুয়েনশিয়াল মুসলিমস’ এর তৃতীয় সংস্করণে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মুসলিমদের একজন হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। নোমান আলী খান ১৯৭৮ সালে পূর্ব জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সেসময় পাকিস্তানি কূটনীতিক হিসেবে জার্মানিতে কর্মরত ছিলেন। বাবা-মা উভয়েই পাকিস্তানি হলেও নোমানের পাকিস্তানে বেশি দিন থাকা হয়নি। বাবার কর্মস্থল পরিবর্তনের কল্যাণে সৌদি আরবে ৬ বছর বসবাস করার পর আমেরিকায় চলে আসেন নোমান। এরপর থেকে আমেরিকাতেই থাকছেন এই ধর্মীয় বক্তা। ধর্মীয় শিক্ষায় তার হাতেখড়ি হয়েছিল সৌদি আরবেই। এরপর আমেরিকাতেই তিনি চালিয়ে গেছেন ক্লাসিক্যাল আরবি শিক্ষা। বর্তমানে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ডালাসে বসবাস করছেন তিনি। নোমান আলী খান বাংলা বই লেখেননি, তথাপি তার ‘ডিভাইন স্পিচ’ এবং ‘রিভাইভ ইয়োর হার্ট’ সহ বেশ কিছু বই বাংলায় অনূদিত হয়েছে। এছাড়াও, ‘প্রশান্তির খোঁজে’ এবং ‘বন্ধন’ বইগুলোও রয়েছে নোমান আলী খান এর বই সমগ্রতে।