হাই স্কুলে থাকতে এক মেয়ে আমাকে বলেছিল, 'দিহান তোমাকে দেখলে আমার ভীষণ জ্বর হয়,কেঁপে উঠে শরীর,ঘুম আসে প্রচুর।তোমাকে আমার প্রয়োজন।' মেয়েটার আবেগী কথাগুলো শুনে আমি হেসে বলেছিলাম, 'ভালো ডক্টর দেখাও।' সে ডাক্তার সন্ধান করেছিলো কীনা জানিনা কিন্তু আমি তোমার জ্বর কাঁটানোর জন্য খুব করে চিকিৎসা নিতে চেয়েছি কুহকিনী। অথচ বুকে মায়া নামক ব্যাথাটি কমছেনা বরং বাড়ছে।শুনেছিলাম চোখের আড়াল হলে মানুষ মনের আড়াল হয়ে যায়।আমার তোমার ব্যাপারটা উল্টো হলো কেন?এইতো এখনও তোমার ঈষদুষ্ণ বিনুনির আঘাতে আমার হাতদুটো জ্বলে যাচ্ছে। আমি এই অসহায় পরিস্থিতি থেকে কখনো বের হতে পারিনা কুহকিনী।আমাকে সাহায্য করো।জানিনা কোথায় আছো তুমি।কতোটা আপনে আছো।কিন্তু তুমি আমার ভীষণ অসহ্যকর আপন কেউ।অথচ নিষিদ্ধ, নিষিদ্ধ তুমি।" থেমে গেলো কলম।আর চলতে চাচ্ছে না।কিন্তু দিহানের বক্ষ পিঞ্জিরাতে বসবাস করা এক মানবী আরো শুনতে চাচ্ছে।অকস্মাৎ খুব রাগ হলো দিহানের।এতোক্ষণ তার অনুভূতি দিয়ে রাঙানো কাগজটিকে দুমড়েমুচড়ে ফেলে দিলো।আক্রোশে দুহাত দিয়ে মুখ চেপে ধরলো।জোরে জোরে শ্বাস নিতে নিতো বলল, "সে আমার জন্য নিষিদ্ধ।কিন্তু সেই আমার জন্য শুদ্ধ।"
সামিয়া খান প্রিয়ার জন্ম টাংগাইল শহরে।বর্তমানে স্নাতকে পড়াশোনা করছেন।লেখালেখি তে খুব অল্প দিন ধরে আছে। আফারীত সিরিজ ও সুদূরিকা দিয়ে পাঠকমহলে বেশি পরিচিত। তাঁর অন্য বইগুলো হচ্ছে চৈতি হাওয়া, পরব প্রিয়ার বেণীঁ বাধন, মিঠা রোদ, এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম প্রেম মেলে না।