ফ্ল্যাপে লিখা কথা ঊনবিংশ শতকের পাকভারত উপমহাদেশের এক অনন্যসাধারণ ব্যক্তিত্ব নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরী। ইংরেজ সরকার কর্তৃক রাজনৈতিকভাবে নিষ্পেষিত, অর্থণৈতিকভাবে পুর্যুদস্ত, শিক্ষা থেকে বঞ্চিত, নানাবিধ কুসংস্কারাচ্ছন্ন মুসলিম সমাজের এক উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম তিনি। তৎকালীন সমাজের প্রেক্ষাপটে এই অসাধারণ ব্যক্তিত্ব নবাব ফয়জুন্নেছার অবদানই ‘নবাব ফয়জুন্নেছা ও পূর্ববঙ্গের মুসলিম সমাজ’ গ্রন্থের মূল প্রতিপাদ্য।
ফয়জুন্নেছার জীবনই ছিল তৎকালীন কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজের বিরুদ্ধে এক বলিষ্ঠ প্রতিবাদ। মায়ের উৎসাহে তিনি বাংলা ভাষায় শিক্ষালাভ করেছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে স্বামীর অন্যায় আচরণের সুস্পষ্ট প্রতিবাদী এই নারীকে আমরা পেয়েছি জমিদার, সমাজকর্মী ও সাহিত্যসেবী হিসেবে। তাঁর প্রতিষ্ঠিত তৎকালীন কুমিল্লার ‘ফয়জুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়’টি অদ্যাবধি নারীশিক্ষার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছে।
চিকিৎসা বঞ্চিত তৎকালীন নারী সমাজের চিকিৎসার জন্য ‘ফয়জুন্নেছা জেনান হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি হয়েছেন এক দরদি সমাজ-সংস্কারক। রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, দিঘি-পুকুর, মসজিদ, মুসাফিরখানা এবং প্রতিটি মৌজায় প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছাত্রদের থাকার ব্যবস্থা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি হয়েছেন এক অনন্য সমাজকর্মী। ‘রূপজালাল’ সাহিত্য গ্রন্থ রচনা ও প্রকাশ করে তিনি তৎকালীন পুরুষ সাহিত্যিকগণের সাথে সগোত্রতা স্থাপন করেছেন। তৎকালীন সমাজের দরিদ্রতা দূরীকরণের লক্ষ্যে জমিদার ফয়জুন্নেছা বিশাল জমিদারিরর বেশির ভাগ অংশই দান (ওয়াকফ) করে জনসেবার ক্ষেত্রে রেখেছেন অবিস্মরণীয় অবদান।
সূচিপত্র * নবাব ফয়জুন্নেছা : বংশপরিচয় ও বাল্যজীবন * নবান ফয়জুন্নেছা : বিয়ে ও বিবাহিত জীবন * নবাব ফয়জুন্নেছা : কর্মজীবন * সাহিত্যসেবী ফয়জুন্নেছা * ফয়জুন্নেছার সমকালীন পূর্ববঙ্গের মুসলিম সমাজ * উপসংহার * গ্রন্থপঞ্জি
রওশন আরা বেগম চট্টগ্রাম শহরের বিবিরহাট ‘বড় বাড়ীতে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মরহুম আমিন রশিদ ও মা গােলে আরজান বেগম। * রান্নার হাতেখড়ি মায়ের কাছে। বড় বােনের উৎসাহে ‘বেগম পত্রিকার রেসিপি দেখে খুব অল্প বয়সে রান্না করা শুরু। সে সময় থেকে লালিত স্বপ্ন তাকে করে তােলে এক খ্যাতিমান রন্ধনশিল্পী রূপে। * নানা রকম রান্না প্রতিযােগিতায় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে তার সৃজনশীল কর্মজীবনের সূত্রপাত এবং অধিকাংশ। প্রতিযােগিতায় জায়গা করে নিয়েছেন শীর্ষস্থান। আর এসবই তাকে নিয়ে আসে পাদপ্রদীপের আলােয়। ' স্কয়ার কনজুমার প্রােভাস লি. আয়ােজিত রান্নায় শ্রেষ্ঠতের লড়াই প্রতিযোগিতায় সেরা রাধুনী-১৪১৪ শিরােপা অর্জনসহ তিনি রান্না বিষয়ক অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। রওশন আরা বেগম এখন একজন উদ্যোক্তা। নিজের হাতে গড়ে তুলেছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট নিপুণ । * ১৯৯০ সাল থেকে নিজ প্রতিষ্ঠান নিপুণে রানা, ফুড ডেকোরেশান, কাটিং ও বিউটিফিকেশানসহ শতাধিক কোর্সের। ওপর প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন। টেলিভিশন চ্যানেলে রান্নার অনুষ্ঠানে তার মজাদার ও ব্যতিক্রমী রেসিপি দর্শক মহলে নন্দিত হয়েছে। । জাতীয় ও আঞ্চলিক সংবাদপত্র এবং বিভিন্ন সাপ্তাহিক ও পাক্ষিক ম্যাগাজিনে তার অনেক রেসিপি প্রকাশিত হয়েছে।। ‘রূপচর্চাদা ফুড ফ্যামিলি কার্নিভাল-২০১০, ১৩, ১৪, মনিটর শেফ অব দ্য ইয়ার-২০১২', 'মনিটর শেফ অব দ্য। ইয়ার-২০১৪' এবং 'সেরা রাঁধুনী ১৪২২'-এ তিনি বিচারক। হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। * স্বামী এবং দুই সন্তান নিয়ে রওশন আরা বেগম চট্টগ্রাম নগরীর নন্দনকাননে বসবাস করেন। তার স্বামী মােঃ সেলিম একজন লব্ধ প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং বিশিষ্ট সমাজকর্মী ।। সন্তানদের মধ্যে মেয়ে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক। ছেলে স্কুল শিক্ষার্থী।