শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর ‘শিক্ষক’ শব্দটি ‘শিক্ষা’ ক্রিয়াপদ থেকে উদ্ভুত যার পূর্ণরূপ হল শি=শিষ্টাচার, ক্ষ=ক্ষমা, ক=কর্তব্য। এই তিন মিলে শিক্ষক শব্দটি তৈরি। ‘শিক্ষক’ কথাটির অর্থ হল শিক্ষাদাতা, গুরু, অধ্যাপক, উপদেষ্টা, আচার্য, পন্ডিত ইত্যাদি। সেই ব্যক্তি যিনি শিক্ষা প্রদান করেন বা যার কাছ থেকে শিক্ষা পাওয়া যায়। শিক্ষাদানের মহান ব্রত যার কাজ, তাকেই শিক্ষক বলে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাদানের কাজে নিয়োগকৃতদেরকেই শিক্ষক বলে। তবে সাধারণত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকতার কাজে যারা নিয়োজিত থাকেন তাদেরকে শিক্ষক এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অধ্যাপক বলা হয়ে থাকে। শিক্ষককে জাতি গঠনের কারিগর বলা হয়। জাতি গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা তাই অগ্রগণ্য। শিক্ষকের বিকল্প শিক্ষক। কেননা একজন আদর্শ শিক্ষকই পারেন তার অনুসারীদের জ্ঞান ও ন্যায় দীক্ষা দিতে। শিক্ষার্থীর মানবতাবোধকে জাগ্রত করে একজন শিক্ষক কেবল পাঠদানকে সার্থকই করে তোলেন না, পাশাপাশি দেশের উন্নয়নকে তরান্বিত করেন। স্বীয় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করে তাদেরকে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলেন। শিক্ষক শব্দটির ইংরেজি প্রতি শব্দ হল ‘ঞবধপযবৎ’। এই শব্দটির মধ্যে রয়েছে ৭ টি ইংরেজি অক্ষর। এর প্রত্যেকটি অক্ষরের একটি করে ব্যাখ্যা বা ভাবার্থ রয়েছে। যেমন ঞ তে ঞৎঁঃযভঁষ, যার অর্থ সত্যবাদী। ঊ তে ঊফঁপধঃবফ, যার অর্থ শিক্ষিত। অ তে অঃঃরঃঁফব, যার অর্থ আচার-আচরণ। ঈ তে ঈষবধৎহবংং, যার অর্থ পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা। ঐ তে ঐঁসধহরঃু, যার অর্থ মানবতা। ঊ তে ঊভভরপরবহপু, যার অর্থ দক্ষতা এবং জ তে জবধফবৎ, যার অর্থ পড়–য়া। অর্থাৎ এতগুলো গুণ থাকলে তবেই না তিনি একজন আদর্শ বা অনুকরণীয় শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন। তবে এখানে অক্ষরের যে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে একই অক্ষরের আরও ভিন্ন ভাবার্থও থাকতে পারে।