আমাদের জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থায় বিভিন্ন শিক্ষামাধ্যমে প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সকল স্তরে সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে রচিত হয়েছে অসংখ্য পাঠ্যপুস্তক। এসব পাঠ্যপুস্তক শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তবে দুঃখের বিষয় যে, এ সকল পাঠ্যপুস্তক রচনাকালে অধিকাংশ লেখক শিরক-বিদ‘আতযুক্ত ধর্মীয় ও সামাজিক পরিবেশের কুপ্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে পারেননি। ফলে সেখানে বিশুদ্ধ ইসলামী আক্বীদা ও আমল বিরোধী বহু বিষয় সন্নিবেশিত হয়েছে। এতে করে শিক্ষার্থীদের কোমল মনে জীবনের ঊষালগ্নেই অনুপ্রবেশ করছে অসংখ্য ভুল ও নানাবিধ কুসংস্কার। যার ফলশ্রুতিতে ভবিষ্যত বংশধরদের জীবনধারায় ইসলামের প্রকৃত নূর ও হেদায়াত প্রতিফলিত হচ্ছে না। আবার অভ্রান্ত সত্যের মূল উৎস পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের বাণী সম্পর্কেও তারা থাকছে অন্ধকারে। brএমতাবস্থায় ছোট্ট সোনামণিরা যাতে সঠিক ইসলামী আক্বীদা ও আমলের সাথে পরিচিত হ’তে পারে এবং বিশুদ্ধ জ্ঞানার্জন করতে পারে সেজন্য ‘হাদীছ ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশ’ প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরের জন্য ছহীহ আক্বীদা ও আমলভিত্তিক প্রয়োজনীয় পাঠ্যপুস্তক রচনার প্রকল্প হাতে নিয়েছে বই সূমহ: ১. কুরআন মাজীদ (৩০ তম পারা) ২. সহজ ইংরেজী ২য় ভাগ ৩. সহজ উর্দূ - ১ম ভাগ ৪. সহজ আরবী - ২য় ভাগ ৫. দ্বীনিয়াত শিক্ষা - ২য় ভাগ ৬. প্রথমিক বাংলা শিক্ষা - ২য় ভাগ ৭. সহজ গণিত - ২য় ভাগ ৮. সাধারণ জ্ঞান - ২য় ভাগ ৯. আরবী ক্বায়েদা ২য় ভাগ
Title
ছোটদের সহজ সিরিজ- ২য় শ্রেণীর জন্য (১-৯ বই একত্রে )
বাংলাদেশের অন্যতম প্রসিদ্ধ ইসলামী চিন্তাবিদ মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব। ১৯৪৮ সালের ১৫ জানুয়ারী সাতক্ষীরার বুলারাটি গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মাওলানা আহমাদ আলী বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের একজন বিখ্যাত আহলে-হাদিস আলেম ছিলেন। তাঁর শিক্ষাজীবনের শুরু সাতক্ষীরার কাকডাঙ্গা সিনিয়র মাদরাসা থেকে। এই প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি দাখিল, আলিম ও ফাযিল এবং জামালপুর থেকে ১৯৬৯ সালে কামিল পরীক্ষা কৃতিত্বের সাথে পাশ করেন। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে মাদরাসা বোর্ডে আলিম ও কামিল পরীক্ষায় অসাধারণ কৃতিত্ব দেখান যথাক্রমে ১৬তম ও ৫ম হয়ে। অতঃপর তিনি কলারোয়া সরকারি কলেজ থেকে আইএ এবং খুলনার সরকারি মজিদ কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগ থেকে মাস্টার্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। পিএইচডি গবেষণার জন্য ইংল্যান্ডে কমনওয়েলথ স্কলারশিপ অর্জন করলেও পরবর্তীতে আর যাননি। অতঃপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯২ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজে খন্ডকালীন লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন। একই বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ও ইসলাম শিক্ষা বিভাগে লেকচারার হিসেবে যোগ দেন। এই বিভাগ থেকেই ২০১৬ সালে অবসর নেন। তিনি লেখালেখি করেন রাজনীতি, অর্থনীতি্ সাহিত্য, রাষ্ট্রনীতি, ধর্ম প্রভৃতি বিষয়ে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রিকায় তাঁর প্রকাশিত প্রবন্ধ-নিবন্ধের সংখ্যা প্রায় ৫ শতাধিক ছাড়িয়েছে। তিনি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ‘আহলে-হাদীস আন্দোলন-বাংলাদেশ’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান আমীর। মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব এর বই সমূহ মূলত ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়, আহলে-হাদীস আন্দোলন, নবী-রাসূলদের জীবনী, ইসলামি খেলাফতের প্রাচীন ও বর্তমান অবস্থার দিকে বেশি গুরুত্ব দেয়। এই ইসলামি চিন্তাবিদ ও গবেষক পেশাগত কাজে দেশে-বিদেশে ভ্রমণ করেছেন। আরবি, ফার্সি, উর্দু ও ইংরেজি ভাষায় তাঁর দক্ষতা রয়েছে। পাঠক সমাদৃত মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব এর বই সমগ্র হলো ‘আহলে হাদীস আন্দোলন কী ও কেন’, ‘জীবন দর্শন’, ‘ইনসানে কামেল’, ’ছালাতুর রাসূল (ছাঃ), ‘তিনটি মতবাদ’ ইত্যাদি। ২০০০ সালে সৌদি সরকারের রাজকীয় মেহমান হিসেবে হজব্রত পালন করেন তিনি।