পাশ্চাত্যের বস্তুবাদী সভ্যতা রবের সাথে মানুষের সম্পর্ককে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এটা পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। এ মহাবিপর্যয় কাটিয়ে উঠা মানব জতির একমাত্র ধ্যান-ধারণা হওয়া উচিত। এ-ক্ষেত্রে একমাত্র মুসলিম জাতিই পারে সে মহাবিপর্যয় কাটিয়ে উঠার পথ দেখাতে। কিন্তু পশ্চিমারা এমন পদক্ষেপের সামনেও বাধার প্রাচীর দাঁড় করিয়ে রেখেছে। তারা মুসলিম জাতিকে তাদের স্বজাতির পরিচয় ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারা মুসলিম জাতির মগজ ধোলাইয়ের পেছনে দুদিক থেকে কাজ করেছে-
১. মুসলমানদের মুসলিম পরিচয় ভুলিয়ে বিভিন্ন জাতিয়তাবাদী পরিচয়ের সবক দিয়েছে। আরবদের বুঝিয়েছে, তোমাদের পরিচয় আরব; মুসলমান নয়। উসমানিদের বুঝিয়েছে, তোমরা তুর্কি ; মুসলমান নয়। আমাদের বুঝানোর চেষ্টা করছে, তোমরা বাঙালি, মুসলমান নয়।
২. বস্তুবাদী বিভিন্ন মতবাদের বিষ সবার মাথায় ঢুকিয়ে ইমানের সাথে সংঘর্ষ বাঁধিয়ে দিয়েছে। পুঁজিবাদ, সমাজবাদ, গণতন্ত্র, নারীবাদ, নাস্তিক্যবাদের বিষাক্ত ছোবলের মাধ্যমে প্রতিটি মুসলমানকে ইমানহারা করছে। যাতে তারা আর আত্মপরিয় নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে না পারে।
পশ্চিমারা এদুটি কাজের পেছনে প্রধানত: ভাষা ও সাহিত্যকে বাহন হিসেবে ব্যবহার করেছে। প্রতিটি মুসলিম দেশের কবি-সাহিত্যিকরা পশ্চিমাদের সেই বাঁশিতেই ফুঁক দিয়ে যাচ্ছে। লেখক বিষয়টিকে ইতিহাস ও বাস্তবতার আলোকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। পাশাপাশি সেগুলোর মূলে আঘাত করে করে, ওদের ভাঁওতাবাজি ও কপটতা প্রকাশ করার চেষ্টা করেছেন। রক্ষণাত্মক পদ্ধতি গ্রহণ না করে, বিশ্লেষণ ও আক্রমণাত্মক পদ্ধতিতে বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হয়েছে। ভুলকে ভুল বলেই তার অসারতা তুলে ধরা হয়েছে। মানসিক পরাজয়ের কারণে সত্য বলতে দ্বিধা করা হয়নি।
বই : বস্তুবাদের মুখোশ উন্মোচন লেখক : তাফাজ্জুল হক প্রকাশন : ফাতিহ প্রকাশন